পাহাড়ের ঘোনায় মাছ চাষ

10979420_822155804521605_227206519_n
ফাতেমা জান্নাত মুমু:

পার্বত্যাঞ্চলে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে মাছ চাষ। পাহাড়ের ঘোনায় বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করে ভাগ্য পরিবর্তনে নেমেছে অনেক বেকার যুবক। পার্বত্য চট্টগ্রামে মৎস্য চাষ উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে দীর্ঘ মেয়াদী প্রকল্পের আওতায় ‘ক্রিকে’র মাধ্যমে মাছচাষে এগিয়ে এসেছে রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলার ঘিলাছড়ির এলাকার সুজন চাকমা ও প্রিয় কুমার চাকমার মতো আরও অনেকেই।

মৎস্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, পার্বত্যাঞ্চলে মৎস্য চাষ উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে দীর্ঘ মেয়াদী প্রকল্প নেয়া হয়েছে। মৎস্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে তিন পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানসহ মোট ২৫ উপজেলায় (ক্রিক ) পাহাড়ের ঘোনায় মাছ চাষ এ প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। পাঁচ বছর মেয়াদি এ প্রকল্পে সাড়ে ৬৮ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রায় ২০০ ক্রিক নির্মাণ করা হয়েছে। আরও পাঁচ শতাধিক ক্রিক নির্মাণের করা হবে। এসব ক্রিকের মাধ্যমে শিগগিরই তিন পার্বত্য জেলায় বেকার যুবকদের জন্য ব্যাপক আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।

অন্যদিকে, মাছের রেণু ও পোনার প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে রাঙামাটি ও বান্দরবানে ইতোমধ্যে দু’টি মিনি মৎস্য হ্যাচারি নির্মাণ করা হয়েছে। খাগড়াছড়িতে আরও একটি হ্যাচারি নির্মাণ করা হবে বলে জানা গেছে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে মৎস্য চাষ উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ও রাঙামাটি জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবদুল হান্নান মিয়া জানান, ‘ক্রিক’ এর মাধ্যমে মাছের পোনা উৎপাদন ও লালন-পালনের লক্ষ্যে প্রায় ৬ হাজার জনকে মাছ চাষের ওপর বিভিন্ন প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। এ প্রকল্পের আওতায় পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রকল্পের মেয়াদকালে সর্বমোট ৮০৪টি ক্রিক নির্মাণ করা হবে।

তিনি বলেন, গত ২০১৩-১৪ অর্থ বছরে ৮১৩ টি ক্র্রীকের মধ্যে এ পর্যন্ত ৩৩২টি ক্রিকের কার্যাদেশ দেয়া হয়েছে। আগামী জুনের মধ্যে এ ক্রীক নির্মাণ কাজ শেষ হবে। ইতোপূর্বে ৯৫টি ক্রীক নির্মাণ করা হয়। এখন ৩৩২টি ক্রীক মিলে এ পর্যন্ত মোট ৪২৭ ক্রিক নির্মাণে কার্যাদেশ দেয়া হয়েছে।

রাঙামাটির কাউখালী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এস এম চৌধুরী জানান, পাহাড়ি ঘোনায় বাঁধ দিয়ে যে ক্রিক তৈরি করা হচ্ছে, তা সঠিকভাবে কাজে লাগানো গেলে পার্বত্যাঞ্চলের অর্থনৈতিক অবস্থান আরও উন্নত হবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন