“পাহাড়ের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা বাঙালি জনপ্রতিনিধিদের বিভিন্ন মাধ্যমে হত্যার হুমকি দিচ্ছে”

‘পাহাড়ে নির্বাচিত বাঙালি জনপ্রতিনিধিদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নেই’

বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ রাঙ্গামাটি জেলা শাখার আলোচনা সভা

পাহাড়ে নির্বাচিত বাঙালি জনপ্রতিনিধিদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নেই। পাহাড়ের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা বাঙালি জনপ্রতিনিধিদের বিভিন্ন মাধ্যমে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। বাঙালি জন প্রতিনিধিদের নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। অন্যথায়, কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকরী বাহিনী দায়ী থাকবে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বিকেলে রাঙ্গামাটি কাঠ ব্যবসায়ী সমিতির সম্মেলন কক্ষে পার্বত্য অধিকার ফোরাম ও বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ রাঙ্গামাটি জেলা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত ইফতার ও দোয়া মাহফিল এর আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

এসময় আলোচনা সভায় রাঙ্গামাটি জেলা শাখার বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদের সভাপতি মো. নাজিম আল হাসানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল আবছারের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন পার্বত্য অধিকার ফোরামের কেন্দ্রীীয় উপদেষ্টা বেগম নূর জাহান, কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. মাঈন উদ্দিন, পার্বত্য চট্টগ্রাম সম-অধিকার আন্দোলন রাঙ্গামাটি জেলা শাখার সভাপতি মো. ইউনুছ, সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর কামাল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এড. আবছার আলী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং মেডিকেল কলেজ বাস্তবায়ন সংগ্রাম পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মো. জালোয়া, পার্বত্য অধিকার ফোরামের কেন্দ্রীয় সহ- সভাপতি ও ঢাকা মহানগরের সভাপতি আহম্মেদ রেদওয়ান, পার্বত্য অধিকার ফোরামের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মো. হাবিবুর রহমান হাবিব প্রমুখ।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, বর্তমানে পার্বত্য চট্টগ্রামে চারটি আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলের মধ্যে খুন, গুম, অপহরণ বেশ প্রকট আকার ধারণ করেছে। প্রতিটি ঘটনায় এক দল অন্য দলকে দায়ী করার পাশাপাশি সরকার এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কলুষিত করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আসলে জেএসএস(সন্তু), জেএসএস(সংস্কার), ইউপিডিএফ(প্রসীত) এবং ইউপিডিএফ(গণতান্ত্রিক) নামক উগ্র এই ৪টা সংগঠন পুরো পাহাড়ি জেলাগুলোকে নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নিয়ে চাঁদাবাজির হরিলুট চালাচ্ছে।

তাদের এই অপকর্মের পথে প্রধান বাঁধা পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তিপ্রতিষ্ঠায় নিয়োজিত “সেনাবাহিনী”। আর সে কারণেই এইসব উগ্র সন্ত্রাসী সংগঠণগুলোর প্রধান দাবি “পাহাড় থেকে সেনা প্রত্যাহার” করতে হবে যাতে করে তারা সমগ্র পাহাড়ি ৩ জেলাতে পুরো মাত্রায় অত্যাচার চালাতে পারে এবং পাহাড়ে নিজেদের “জুম্মল্যান্ডের পতাকা” ওড়াতে পারে।

তাই পাহাড়ে সকল জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তা, শান্তি ও সম্প্রীতি এবং দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার স্বার্থে প্রত্যাহার কৃত সেনাক্যাম্প পুনঃস্থাপন করতে হবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন