পাহাড় ধসের আশংকা; নাইক্ষ্যংছড়িতে প্রশাসনের মাইকিং,২৫ আশ্রয় কেন্দ্র
দেড় সপ্তাহ ধরে টানা বর্ষণের ফলে নাইক্ষ্যংছড়ির পাহাড়ি জনবসতিতে ধস এবং বন্যার আশংকা দেখা দিয়েছে। উপজেলার ৫ ইউনিয়নে অন্তত কয়েক হাজার ঘর-বাড়ি ধসের ঝুঁকিতে রয়েছে। বিষয়টি অতি গুরুত্বের সাথে বিবেচনায় এনে ইতিমধ্যে উপজেলা প্রশাসন তৎপরতা শুরু করেছেন গত রোববার থেকে ।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া আফরিন কচি জানান, অতি বৃষ্টি বা অনাবৃষ্টি যা-ই বলা হোক না কেন নাইক্ষ্যংছড়ির সব পাহাড়ই কিন্তু ধসের ঝুঁকিতে। তবে বসতিপূর্ন এলাকা গুলোতে সরেজমিনে গিয়ে যাচাই-বাচাই করে উপজেলার ৫ ইউনিয়নে প্রায় সাড়ে সাড়ে ৩ শ’ অতিঝুকিপূর্ণ বাড়ির তালিকা করা হয়েছে। যাদেরকে সরে আসার জন্যে বলা হচ্ছে নানাভাবে।
বিশেষ করে শনিবার ও রোববার দু’দিন ধরে মাইকিং করে অতিঝুঁকিতে ও ঝুঁকিতে বসবাসরত লোকজনকে আশ্রয় কেন্দ্রে চলে আসতে বলা হচ্ছে। আর এ সব লোকজনকে নিরাপদে থাকার ব্যবস্থাও করা হয়েছে ইতিমধ্যে। এদিকে ২৫টি স্কুলকে আশ্রয় কেন্দ্র্র হিসেবে ব্যবহারের জন্যে সব ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, সদর ইউনিয়ন, ঘুমধুম, সোনাইছড়ি, দৌছড়ি ও বাইশারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের এ সব কেন্দ্রে আশ্রিত লোকজনকে নিয়ে এনে সব ধরনের সহায়তার ব্যবস্থা করতে বলেছেন তিনি। আর উপজেলার পিইওকেও এদের সহায়তা করতেও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গতকাল রোববার রাত সাড়ে ৯ টায় এ সংবাদ লেখাকাল পর্যন্ত নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ৫ ইউনিয়ন এবং পাশ্ববর্তী রামু উপজেলার সর্বত্র মূষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। লোকজন বলছেন, এভাবে বৃষ্টি হতে ধাকলে একদিকে পাহাড় ধস অপর দিকে আজ সোমবার বা পরের যে কোন দিন বন্যা হতে পারে।