পুনঃনির্বাচনের দাবি রাঙামাটিতে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীর সংবাদ সম্মেলন

BNP Press Confarence Pic

ফাতেমা জান্নাত মুমু, রাঙামাটি:
আওয়ামী লীগ ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জন সংহতি সমিতি জেএসএসের নেতাকর্মীদের ক্ষমতাবলে ব্যালট পেপার ছিনতাই, কেন্দ্র দখল, জাল ভোট প্রদান, পাহাড়ে অস্ত্রেও মহরার অভিযোগ এনে সদর উপজেলা ২৬টি ভোট কেন্দ্রেও আবারও পুনঃনির্বাচনের দাবীতে রাঙামাটিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে, রাঙামাটি জেলা বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী মাহবুবুল বাসেত অপু ও তাঁর দল। শহরের বিএনপির জেলা কার্যালয়ে  এক সম্মেলনে বিএনপির পরাজিত প্রার্থী এ দাবী জানায়।

এসময় আয়োজিত সংবাদ সন্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সভাপতি এ্যাডভোকেট দীপেন দেওয়ান, সাধারন সম্পাদক মো: শাহ আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম পনির, সদর থানা বিএনপির সভাপতি মামুনুর রশীদ, জেলা যুবদলের সভাপতি সাইফুল ইসলাম শাকিল, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আবু সাদাত মোঃ সায়েম সহ বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মাহবুবুল বাসেত অপু।
সাংবাদিক সম্মেলনে বিএনপি নেতারা অভিযোগ করেন, শহরে সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক বর্তমান চেয়ারম্যান মো: মুছা মাতব্বরের নেতৃত্বে ভোটের দিন রাঙ্গামাটি শহরের ৮টি কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা নজিরবিহীন ব্যালট ছিনতাই ও জাল ভোট প্রদান করে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশকে নষ্ট করার পাঁয়তারা চালিয়েছিল। তেমনী শহরের বাইরের ১৮টি কেন্দ্রে জেএসএস এর সশস্ত্র কর্মীরা যেভাবে ভোট নিয়ন্ত্রন করেছে, তাতেই তাদের প্রার্থীর পরাজয় নিশ্চিত হয়ে গেছে। তাই তারা এই ২৬টি কেন্দ্রে পুনরায় নির্বাচনের দাবি জানান।

বিএনপি নেতারা অভিযোগ করেন, শহরের বাইরের ৬টি ইউনিয়নের ভোটকেন্দ্রগুলোতে বিএনপির এজেন্টদের বের করে দিয়ে জোরকরে ভোট আদায় করেছে জেএসএস। এমনকি অস্ত্রের মুখে বিএনপি প্রার্থীর এজেন্টদের এলাকা ছাড়তেও বাধ্য করে তারা। বিএনপি নেতারা সংবাদ সম্মেলনে আরো বলেন, সকালে শহরে সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণ শুরু হলেও আওয়ামীলীগের স্বেচ্ছাচারিতা আর ভোট কারচুপির কারণে আর ইউনিয়নগুলোতে জেএসএস এর সশস্ত্র সন্ত্রাসের কারণে বিএনপি প্রার্থী পরাজিত হয়েছে।

বিএনপি পদপ্রার্থী মাহবুবুল বাসেত অপু বলেন, শহরে আওয়ামী লীগ আর পাহাড়ে জেএসএস এর ভোট ডাকাতির কারণে আমি পরাজিত হয়েছি। তাই আমি নির্বাচন কমিশনের কাছে এই উপজেলার ২৬টি ইউনিয়নে পুনরায় নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানাচ্ছি। তিনি ৬ ইউনিয়নে জেএসএস এর সশস্ত্র ক্যাডারদের কারণে কেউ স্বাধীনভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি বলেও দাবি করেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন