পেকুয়ায় পুলিশের উপর হামলার মামলার আসামি আটক, অস্ত্র উদ্ধার


পেকুয়া প্রতিনিধি:

পেকুয়ায় পুলিশের উপর হামলায় মামলার আসামি জামাল উদ্দিনকে (৩৮) আটক করছে পুলিশ।

শুক্রবার (৬এপ্রিল) দিনগত রাত ৩টার দিকে একটি দেশীয় তৈরি বন্দুক ও দুই রাউন্ড তাজা কার্তুজসহ তাকে আটক করা হয়েছে বলে জানায় পেকুয়া থানা পুলিশ। জামাল উদ্দিন রাজাখালী ইউনিয়নের বদিউদ্দিন পাড়া এলাকার মো. শাহ আলমের পুত্র।

পেকুয়া থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) সুমন সরকার বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার গভীর রাতে তার বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। এসময় তার কোমরে থাকা দেশীয় তৈরি একটি বন্দুকসহ তাকে আটক করা হয়।

এদিকে আটক জামালের মা উম্মে ছফার দাবি তার ছেলেকে অস্ত্র দিয়ে ফাঁসিয়েছে পুলিশ। তিনি বলেন, আমার ছেলে দীর্ঘদিন সৌদিআরবে ছিল। তিনবছর আগে সে দেশে ফিরে আসে। এখানে সে লবণ ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিল। সে কোন খারাপ কাজে জড়িত ছিল না। শত্রুতামূলকভাবে এর আগেও তাকে দুটি মামলায় আসামি করা হয়েছিল। এবারেও স্থানীয় কিছু মানুষের ইন্ধনে পুলিশ তাকে ফাঁসিয়েছে।  গত শুক্রবার রাতে ইউপি চেয়ারম্যান ছৈয়দ নূরসহ প্রতিবেশীদের সামনে পুলিশ আমার ছেলেকে নিরস্ত্র অবস্থায় আটক করে থানায় নিয়ে যায়। তার ছেলে নিরপরাধ দাবি করে তিনি এ ঘটনা তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের শাস্তি দাবি করেন।

রাজাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছৈয়দ নূর বলেন, জামাল হোসেনের বিরুদ্ধে একটি মামলার ওয়ারেন্ট ছিল। ওই ওয়ারেন্ট নিয়ে পুলিশ তাকে ধরতে আসে। কিন্তু পুলিশের ডাকে তার বাড়ীর লোকজন ঘরের দরজা না খুললে জনপ্রতিনিধি এবং প্রতিবেশী হিসেবে আমার সহযোগিতা চায়। এসময় আমি গিয়ে জামালের ঘরের দরজা খোলার ব্যবস্থা করি। একই সাথে পুলিশের হাতে জামালকে তুলে দিই। কিন্তু পরে জানতে পারি পুলিশ তাকে অস্ত্রসহ আটক দেখিয়েছে। এতে আমি খুবই হতবাক হয়েছি।

এ ব্যাপারে পেকুয়া থানার ওসি জাকির হোসেন ভূঁইয়া বলেন, জামাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে পুলিশের উপর হামলা, হত্যাসহ ডাকাতি ও একটি পারিবারিক মামলা রয়েছে। সে চিহ্নিত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা চালিয়ে আসছিল। শুক্রবার রাতে অভিযান চালিয়ে নিজ বাড়ি থেকে তাকে অস্ত্র গুলিসহ আটক করা হয়।

তিনি আরও বলেন, আটক জামাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন