পেকুয়ায় এক মাদ্রাসা ছাত্র অপহরণের ৮ ঘন্টা পর উদ্ধার

41
পেকুয়া প্রতিনিধি:
পেকুয়ায় এক মাদ্রাসা ছাত্র অপহরণের ৮ ঘন্টা পর মুখে কালো কাপড় মুড়ানো অবস্থায় উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। অপহরণকারীরা সু কৌশলে ওই মাদ্রাসা ছাত্রকে অপহরণ করে অভিভাবকের কাছ থেকে মোটা অংকের মুক্তিপণ দাবী করছিল। অপহরণকারীদের দাবীকৃত মুক্তিপণ না দেওয়ায় মাদ্রাসা ছাত্রকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে  জখম করে পেকুয়া বাঘগুজারা রাবার ড্যামের পাশের নির্জন স্থানে রেখে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা ওই ছাত্রকে মুমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে পেকুয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে তার অবস্থা আশংস্কাজনক হওয়ায় চমেকে প্রেরণ করে।

জানা গেছে ১৪ মে সকাল ১০ দিকে পেকুয়ার সীমান্ত চকরিয়া উপজেলার পহরচাঁদা ফাজিল মাদ্রাসার ৭ম শ্রেণীর ছাত্র হাফেজ জিহাদুল ইসলাম (১৩) কে মাদ্রাসা এলাকা থেকে ৪/৫ জন দৃর্বত্ত একটি সি এন জি অটোরিক্সা করে জোরপূর্বক অপহরণ করে নিয়ে যায়। ওই মাদ্রাসা ছাত্র জিহাদ কে অনেক খোজাখুজি করা হয়। খবর পেয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে পেকুয়া সদর ইউনিয়নের বাঘগুজারা রাবার ড্যামের পাশের নির্জন স্থান থেকে উদ্ধার করা হয়। অপহরণকারীরা তাকে পেকুয়া বাঘগুজারা রাবার ড্যামের পাশের নির্জন স্থানে রেখে পালিয়ে যায়। চকরিয়া উপজেলার কোণাখালী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের হাফেজ মৌলভী মো: ইউনুছের পুত্র। অপহৃত মাদ্রাসা ছাত্র জিহাদ সাংবাদিকদের কে জানান ঘটনার দিন গোবিন্দপুর এলাকার আবু তাহের, আমির হামজা, জুবাইরের নেতৃত্ব আরো ৪/৫ জন লোক অপহরণ করে নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। মুখে কালো কাপড় বেধেঁ দিয়ে পালিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে অপহৃত মাদ্রাসা ছাত্র জিহাদের পিতা মৌলভী ইউনুছ জানান, একটি নাম্বার থেকে ফোন করে দুই লাখ টাকা মুক্তিপন দিতে হবে না হয় ছেলের মৃত্যু লাশ পাবে এমন কথা শুনার সাথে হতবাক হয়ে ছেলের খোজ নিয়ে দেখি। পরে বিষয়টি পেকুয়া থানা ও চকরিয়া থানা পুলিশ কে অবগত করা হয়। যে নাম্বারটি থেকে ফোন করা হয়েছে সেটি এখন বন্ধ রয়েছে। তিনি এ ঘটনার জন্য মামলা করবেন বলে জানান।  

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: অপহরণ, উদ্ধার, পেকুয়া
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন