পেকুয়া জিএমসি ইনস্টিটিউশনে ১১জন এ প্লাস পেয়ে উপজেলায় শীর্ষে

পেকুয়া প্রতিনিধি:

পেকুয়ায় সদ্য প্রকাশিত এসএসসি পরীক্ষায় এ প্লাস পেয়েছে ২৩ জন এর মধ্যে পেকুয়া জি এম সি ইনস্টিটিউশনে ১১ জন এ প্লাস পেয়ে উপজেলার শীর্ষ স্থান অধিকার করছেন। পেকুয়া উপজেলায় এসএসসি পরীক্ষার ২টি কেন্দ্রে ১০টি প্রতিষ্ঠানের ৯৬৮ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৮১৯ জন পাস করে। সম্মিলিত পাসের হার ৮৪.৬১ শতাংশ।

তথ্য নিয়ে জানা গেছে, পেকুয়া জিএমসি ইনস্টিটিউশন থেকে ২৬৭ জনের মধ্যে ২৪২ জন পাস করে। এ প্লাস পেয়েছে ১১ জন। পাসের হার ৯০.৬৪ শতাংশ। শিলখালী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৭৬ জনের মধ্যে ১৬২জন পাস করে। এ প্লাস পেয়েছে ৯জন। পাসের হার ৯২.০৫ শতাংশ। টইটং উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৭৪ জনের মধ্যে ৫৭ জন পাস করে। পাসের হার ৭৭.০৩ শতাংশ। ফৈয়জুন্নেছা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৬২ জনের মধ্যে ৬১ জন পাস করে। পাসের হার ৯৮.৩৯ শতাংশ। এ প্লাস পেয়েছে ২জন। মেহেরনামা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৫৮ জনের মধ্যে ৪০ জন পাস করে। পাসের হার ৬৮.৯৭ শতাংশ। ইয়ারআলী খান উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৪৯ জনের মধ্যে ৪৭ জন পাস করে। পাসের হার ৯৫.৯২ শতাংশ। হোসনে আরা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৪৬ জনের মধ্যে ৩৬ জন পাস করে। পাসের হার ৭৮.২৬ শতাংশ। পেকুয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৮৩ জনের মধ্যে ৪৯ জন পাস করে। এ প্লাস পেয়েছে ১জন। পাসের হার ৫৯.০৪ শতাংশ বারবাকিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৭৯ জনের মধ্যে ৬৮ জন পাস করে। পাসের হার ৮৬.০৭ শতাংশ। মগনামা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৭৪ জনের মধ্যে ৫৭ জন পাস করে। পাসের হার ৭৭.০৩ শতাংশ।

এদিকে ইতিপূর্বে জেএসসি পরীক্ষায় উপজেলায় ১৪ জন এ প্লাস পেয়ে সাফল্য অর্জন করেছে। ঐবারও ফলাফলে উপজেলার শীর্ষে স্থান করে নেয় পেকুয়া মডেল জি এম সি ইনষ্টিটিউশন। ১৯২৯ সালে পেকুয়া নামে এ স্থানে এলাকার দরিদ্র মানুষের ছেলে মেয়েদের পড়ালেখার জন্য পেকুয়ার জমিদার মরহুম গুরামিয়া এ বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। সেই থেকে এ বিদ্যালয়টি প্রত্যক পাবলিক পরীক্ষায় ভালো ফলাফল অর্জন করেছেন। সে সাথে সুনামও চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। তদপুরি বিদ্যালয়টির এমপিও ভুক্ত প্রায় শিক্ষক অবসরে গিয়েছেন এমনকি প্রধান শিক্ষকও অবসরে চলে গেছেন। বর্তমানে এ বিদ্যালয়টি চলছে কয়েকজন এমপিও ভুক্ত ও প্যারা শিক্ষক দিয়ে। এমপিও ভুক্ত শিক্ষকের চেয়ে প্যারা শিক্ষকের সংখ্যা বেশি। তারপরও পাবলিক পরীক্ষার ফলাফলের দিক দিয়ে উপজেলার শীর্ষে অবস্থানে এ বিদ্যালয়টি।

এ বিদ্যালয়ে বর্তমানে ছাত্র ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ২ হাজারের অধিক। কিন্তু ছাত্রছাত্রীর সংখ্যার চেয়ে একাডেমিক ভবনের সংখ্যা অপ্রতুল। সম্প্রতি শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে একটি চারতলা ভবন নিমার্ণের কাজ চললেও নানা জটিলতার কারণে এ ভবনের নিমার্ণ কাজ বন্ধ হয়ে আছে। এ বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক এ এম এম শাহজাহান চৌধূরী অবসরে গেলে হাল ধরেন সিনিয়র শিক্ষক এনামুল হক চৌধুরী। সম্প্রতি তিনিও বছর দেড় এক প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) দায়িত্ব পালন করে অবসরে গেছেন। শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ থাকায় প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া যাচ্ছে না। যার ফলে এ বিদ্যালয়ের বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের হাল ধরতে হয়েছে আরেক সিনিয়র শিক্ষক জহির উদ্দিনকে। তিনি দায়িত্ব পালন কালে বিদ্যালয়ের শৃঙ্খলাসহ নানা দিকে আমুল পরিবর্তন আনেন। যার ফলে সদ্য প্রকাশিত এসএসসি পরীক্ষায় ১১জন পরীক্ষার্থী এ প্লাস পাওয়ার গৌরব অর্জন করে।

এ ব্যাপারে জানতে পেকুয়া জিএমসি ইনস্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) জহির উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ প্রতিবেদককে জানান এ ফলাফল অর্জনের পেছনে শিক্ষকদের অক্লান্ত পরিশ্রম আর শিক্ষার্থীদের প্রচেষ্ঠার ফলে এ ফসল অর্জন সম্ভব হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন