পেকুয়া বাজারের প্রধান সড়কসহ অভ্যন্তরীন সড়কগুলো চলাচল অনুপযোগী

pic 8-8-14(1)

নিজস্ব প্রতিনিধি,পেকুয়া:
কক্সবাজারের উপকূলীয় অঞ্চলের অন্যতম প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র পেকুয়া আলহাজ্ব কবির আহমদ চৌধুরী বাজারটি সাপ্তাহিক সওদার দিন ছাড়াও প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০হাজার লোক নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী সংগ্রহ করে থাকে।

পেকুয়া,কুতুবদিয়া উপজেলা ছাড়াও বাশখালী ও চকরিয়ার অনেক ব্যবসায়ী এ বাজার থেকে পাইকারী মালামাল সংগ্রহ করে থাকলেও বিশাল এ বাজারের প্রধান সড়কসহ অভ্যন্তরীন সড়কগুলো একটু বৃষ্টিতে পানির নীচে তলিয়ে যায় এবং বাজারের প্রধান সড়কের মাঝ খানে বড় বড় গর্ত হয়ে মাছ চাষের উপযোগী হয়ে উঠেছে। এ বাজারে দেড় হাজারের অধিক ব্যবসায়ী ও তাদের ক্রেতারা বিপাকে পড়ে গিয়ে ক্রয় বিক্রয়ে চরম অসুবিধার সম্মূখীন হচ্ছে।

বাজারের পানি নিংস্কাশনের নালা গুলো পরিস্কার বা সংস্কারের উদ্যোগ কেউ নেয়নি। বাজারের ব্যবসায়ীদের নিত্য ব্যবহারের পানি গুলোও নালা ভরাট থাকার কারণে ও সড়কগুলো নালা থেকে নীচু স্থরের হওয়ায় রাস্তায় নেমে আসে। যার কারণে মনে হয় অতি ব্যস্ত এ বাজারটি সব সময় জলাবদ্ধতার কবলে পড়ে আছে। কাচা বাজারের রাস্তাগুলোতে মহিলা ও শিশুরা হাটতে পারেনা। কতগুলো কলার চারার অবশিষ্টাংশ ও গাছের আগাছা দিয়ে সুস্ক রাখার চেষ্ঠাটি পথচারীদে জন্যে ময়লা আবর্জনা গায়ে জড়ানোর উপক্ষম হয়ে দাঁড়িয়েছে।

প্রতি বছর সরকারকে ২৫ থেকে ২৭ লাখ টাকার রাজস্ব দিয়ে এ বাজারের ইজারা হলেও বাজারের ক্রেতা বিক্রেতার সুবিধার্থে কোন উন্নয়ন কার্যক্রম করা হয়না। পান বাজার সড়কটি পাকা করা হলেও অতিনিম্নমানের কাজ ও নালা থেকে নীচু স্থরে সড়ক নির্মাণ করায় মাছ বাজারের ও তরকারী বাজারে অংশে পুরো বছরই সড়কটি পানির নীচে থাকে। একটু বৃষ্টি হলেই পুরো সড়কটি পানির নীচে তলিয়ে যায়। এছাড়া তরিতরকারি বাজারের ্অভ্যন্তরীন সড়ক গুলো, মাছ বাজারের অভ্যন্তরীন সড়ক বাজারের উত্তর সীমানার ওয়াপদার বেড়িবাধটি পশ্চিম অংশে ও পূর্ব অংশের কাজ অসমাপ্ত থাকায় বৃষ্টি হলে তরকারী ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের দুর্ভোগের অন্ত থাকেনা।

বাজারের নির্দিষ্ট কোন ডাষ্টবিন না থাকায় খোলা জায়গায় ময়লা আবর্জনা মাছ বাজার ও তরকারী বাজারের পাশে রাখায় দূর্গন্ধে বাতাস ভারী থাকায় ওই পথ দিয়ে চলাচল ও ওই স্থানের পাশের ব্যবসায়ীদের কাছে ক্রেতা যেতে পারেনা বলে ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা অভিযোগ তুলেছে। প্রধান সড়কটি বাজার এলাকার পুরো অংশ খানাখন্দকে ঝরাজীর্ণ থাকায় স্বর্ণের মার্কেট, কাপড়ের মার্কেট, কসমেটিকস মার্কেট সহ প্রধান সড়ক কেন্দ্রিক গড়ে ওঠা ব্যবসা বাণিজ্যে সাথে সংশ্লিষ্টরা বর্ষাকালে চরম দূর্ভোগের শিকার হচ্ছে। একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তাটি নালা নর্দমার সাথে একাকার হয়ে স্বাভাবিক চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আর দ্রুত গতিতে গাড়ী সরে যেতে না পেরে প্রায় সময় প্রধান সড়কে যানজট লেগে থাকে।

ব্যবাসয়ীদের সাথে কথা বলে জানাযায়, জন চাহিদা অনুযায়ী দ্রব্য সামগ্রীর মওজুদ এ বাজারে থাকলেও অভ্যন্তরী যোগাযোগ ও ক্রমাগত সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজীর কারণে ব্যবসা বাণিজ্যে ধ্বস নেমেছে। ব্যবসায়ীরা আরো অভিযোগ করেন, বর্ষা শুরুর পূর্বে অভ্যন্তরীন সড়ক গুলো সংস্কার করা না হলে পুরো বাজারটিই পূর্বের মতো নালা নর্দমায় পরিণত হয়ে থাকবে ক্রেতা বিক্রেতাদের দূ:খ দূ:খই থেকে যাবে। এ ব্যাপারে সদর ইউপির চেয়ারম্যান এম বাহাদুর শাহ এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান আমার পরিষদ বাজারের পাশ্বে হওয়ায় আমি বেশ কয়েকবার উধর্বতন কর্তপক্ষ কে এ সব বিষয় অবগত করেছি।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন