Notice: Trying to get property 'post_excerpt' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 53

Notice: Trying to get property 'guid' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 55

পোষাক-পরিচ্ছেদ নিয়ে মিয়ানমার সেনাদের অমানবিক আচরণ এখনো তাড়া করে

নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধি:

মাওলানা হাফেজ আহমদ বড়ছনখোলা  অস্থায়ী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছেন গত ২৭ আগস্ট থেকেই। তার সাথে আছেন পরিবারের আরো ৯ সদস্য। তাদের আরো ৩জন মাওলানা আছেন। তার পরিবারে নারী সদস্য আছে ৪জন। বাকীরা শিশু। তারা মিয়ানমরের মন্ডুর সিকদার পাড়ায় বসবাস করতেন। মিয়ানমারের বৌদ্ধ সেনারা প্রথাগত নানাবিধ নির্যাতন করতে গিয়ে সীমা ছাড়িয়ে গেলেও তাদের বলার কিছু ছিল না কখনোই।

বছরের পর বছর ধরে মিয়ানমার সেনাদের অমানবিক নির্যাতনের মধ্যদিয়ে দিন যাপন করলেও  বৌদ্ধদের এ আচরণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ তো দূরের কথা, বড় করে কথা পর্যন্ত বলতে পারতো না তারা। আর এ কারণে তার পরিবারকে বাধ্য হয়ে বৌদ্ধ পোষাক পরিধান করতে হতো বৌদ্ধ সেনাদের আদেশে। আর এটা পরিধান করে ছবি তুলে সরকারি অফিসে জমা দিতে হতো প্রতিবছর। এভাবে আরো কতকিছু। তাদের এ কর্মকাণ্ড অমান্য করলে ক্ষমা করা হয় না কাউকেই। তাদের কঠোর শাস্তি দেয়া হয়। যা অস্বাভাবিক। এভাবে আরো নানাবিধ অত্যচারের কথা অপকটে বলতে থাকেন মাওলানা হাফেজ আহমদ।

তিনি আরো বলেন, তার পরিবারের ১০ সদস্যের সবাই  নামাজ-কালাম ও কোরআন পড়ে। একজন মুসলিম হিসেবে ইসলাম ধর্মের যাবতীয় অনুশাসন তার পরিবার মেনে চলার কথা কিন্তু মিয়ানমারের বৌদ্ধ সেনারা তাদের সে চিন্তা চেতনাকে ধুলোর সাখে মিশে দেয় ক্ষমতার দাপটে।  শুধু ধর্ষণ নয়, হত্যা, জেল-জুলুম এদের নিত্য দিনের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, তার সংসারের অন্যতম সদস্য তার  স্ত্রী ছালেমা খাতুন। একজন মাওলানা স্ত্রী হিসেবে যেভাবে তার পোষাক পরিচ্ছেদ পরিধানের কথা ছিল তা সে পারেনি পড়তে। প্রতিদিন বৌদ্ধসেনারা এসে তদারকি করতো পোষাকের কোন হেরপের হয় কি-না। মেয়ে খুরশিদা বেগমেরও একই কপাল। পুত্রবধু ঝানুরা বেগমের একই ভাগ্য। এভাবে সবার ভাগ্য একই। তাদের বৌদ্ধ পোষাক পরিধানের বিকল্প নেই।

স্ত্রী ছালেমা বেগম জানান, মুসলমানদের ইসলাম ধর্মীয় লেবাস ও আদাব আহলাক পালনে বাধা দিয়ে মগরা ধর্মান্তরিত করতে উদ্বুদ্ধ করে আসছিল নানা কৌশলে। তার এ সবের বলি তার পরিবারও। যাতে প্রতিটি মুসলিম পরিবারের জন্যে অবমাননাকর। যা তাদের এখনও  তাড়া করে এবং হাফিয়ে উঠে নিয়মিত। এভাবে আরকান রাজ্যের শতশত গ্রামের  লক্ষ লক্ষ মুসলমানদেরকে এ অত্যাচার করে আসছিল বর্মি সেনারা। যা নীরবে সয়ে আসছিল তারা।

আর এরই মাঝে গত ২৫ আগস্ট রাতে আতাউল্লাহ বাহিনীর হামলায় মিয়ানমারের ৩৩ সীমান্ত চৌকিতে হামলার পর এ অত্যাচারের মাত্রা বাড়িয়ে শুরু করে বাড়ি-ঘরে অগ্নি সংযোগ, গণহত্যা,গণধর্ষণ ও গণঅত্যাচার। আর এর বলি এ হাফেজের পরিবারও। যা বাংলাদেশে পালিয়ে আসা লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গা নিপিড়নের স্বীকার।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন