“হোটেল মোটেলগুলোতে খবর নিয়ে জানাগেছে, গত কাল ঘূর্ণিঝড় ফণী ঘনিয়ে আসার খবর প্রচার হওয়ার পর থেকে কক্সবাজার ছাড়ছেন পর্যটকরা”
ঘূর্ণিঝড়

ফণীর প্রভাবে পর্যটক শূন্য কক্সবাজার

ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে কক্সবাজারে প্রচন্ড গরম অব্যাহত রয়েছে

ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে কক্সবাজার উপকূলে গত কয়দিন থেকে প্রচন্ড গরম অব্যাহত রয়েছে। সাগর উত্তাল হয়ে উঠায় কক্সবাজার সৈকত পর্যটক শূন্য হয়ে পড়েছে। কক্সবাজার থেকে ফিরে যাচ্ছেন পর্যটকরা।
বিকেলে সৈকতে গিয়ে দেখা গেছে, বিস্তীর্ণ পর্যটক শূন্য ছাতা চেয়ারের সারি।
হোটেল মোটেলগুলোতে খবর নিয়ে জানাগেছে, গত কাল ঘূর্ণিঝড় ফণী ঘনিয়ে আসার খবর প্রচার হওয়ার পর থেকে কক্সবাজার ছাড়ছেন পর্যটকরা।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় ফণীর মোকাবেলায় কক্সবাজার জেলা প্রশাসন সভাব্য প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। খোলা হয়েছে সার্বক্ষনিক নিয়ন্ত্রণ কক্ষ।

 

আবহাওয়াবিদদের মতে ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটে সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে, যাতে স্বল্প সময়ের নোটিশে তারা নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে পারে।

সেই সঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে কক্সবাজারে প্রচন্ড গরম অব্যাহত রয়েছে। এতে কক্সবাজারসহ গোটা উপকূলের মানুষের মাঝে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে।

পাশাপাশি কক্সবাজার জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসন গুলো ঘূর্ণিঝড় ফণীর সম্ভাব্য ক্ষয়খতি এড়াতে নানা ধরণের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: কক্সবাজার, ঘূণিঝড়, ফণী
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন