ফেসবুকে নিষিদ্ধ হলো আরাকান আর্মি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধরত সংগঠন আরাকান আর্মিসহ চারটি সশস্ত্র গোষ্ঠির সকল ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও গ্রুপ নিষিদ্ধ করেছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। এর আগে সেনাবাহিনীরও অনেক অ্যাকাউন্ট জব্দ করেছিলো ফেসবুক।

ফেসবুকে নিষিদ্ধ হওয়া সংগঠনগুলো হলো, আরাকান আর্মি, মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি, কাচিন ইন্ডিপেন্ডেন্স আর্মি ও তাআঙ ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি।

মঙ্গলবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) ফেসবুক এসব সশস্ত্র গোষ্ঠীকে ‘ক্ষতিকর সংগঠন’ হিসেবে উল্লেখ করে এ পদক্ষেপ নেয়।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সামাজিক মাধ্যম জায়ান্ট ফেসবুক গত আগস্টে মিয়ানমার সেনাবহিনীর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অথবা ভুল তথ্য উপস্থাপনের অভিযোগ আছে এমন শতাধিক অ্যাকাউন্ট, ফেসবুক পেজ ও গ্রুপ বন্ধ করে দেয়।

এর আগে ফেসবুকের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী সমালোচনা শুরু হয়। এ সময় অভিযোগ করা হয়, সহিংসতা প্রতিরোধে যথেষ্ট মনোযোগী নয় ফেসবুক। এরপরি এমন পদক্ষেপ নিল ফেসবুক।

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে দেশটির সেনাবাহিনী হত্যা-ধর্ষণ আর নির্যাতন নিয়ে ফেসবুক নীরব ছিল বলেও অভিযোগ ওঠে।

মঙ্গলবার ফেসবুকের পক্ষ থেকে এক বিবৃতির মাধ্যমে জানানো হয়, মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি, মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালিয়েন্স আর্মি, কাচিন ইন্ডিপেন্ডেন্স আর্মি ও তান ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মিকে তারা ফেসবুক থেকে নিষিদ্ধ করেছে।

ফেসবুকের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘অফলাইনে ক্ষতিকারক যেকোনও কর্মকাণ্ড প্রতিরোধ ও প্রতিকারের প্রচেষ্টা হিসেবেই এ পদক্ষেপ। আমরা এমন কোনও সংগঠন কিংবা ব্যক্তিকে মেনে নিতে রাজি নই, যারা ফেসবুক ব্যবহার করে সহিংসতা কিংবা এ সংক্রান্ত কোনও ঘটনার প্রচারের সঙ্গে যুক্ত।’

ফেসবুকের নিষিদ্ধ তালিকায় থাকা এসব এসব সংগঠন দেশটির সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের স্বায়ত্বশাসনের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে সশস্ত্র আন্দোলন করে আসছে। ব্রিটিশদের কাছে থেকে ১৯৪৮ সালে মিয়ানমার স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই এসব সশস্ত্র গোষ্ঠী হয় স্বাধীনতা নয়তো স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে আন্দোলন করে আসছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন