বকেয়া বেতন ভাতার দাবীতে কেপিএম মেইন অফিস ঘেরাও
বকেয়া বেতন-ভাতার দাবীতে কেপিএম মেইন অফিস ঘেরাও করা হয়েছে।
মঙ্গলবার(২৮ মে) মিলের সিবিএ’র নেতৃত্বে স্থায়ী, অস্থায়ী শ্রমিক- কর্মচারীগণ সকাল ৯টা থেকে কেপিএম মেইন অফিস ঘেরাও করে। এসময় তারা বিভিন্ন ধরনের শ্লোগান দিয়ে মেইন অফিস প্রকম্পিত করে তোলে।
মিলের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আগেই বিসিআইসিতে সিদ্ধান্ত হয় ঈদের পূর্বে শ্রমিক, কর্মচারী, কর্মকর্তাসহ ঠিকাদার শ্রমিকদের বকেয়া দু’ মাসের বেতন ও একটি বোনাস দেওয়া হবে। কিন্তু মিলের শ্রমিক – কর্মচারীগণ জানতে পারেন তাদেরকে এক বেতন ও এক বোনাস দেওয়া হবে। বিষয়টি নিয়ে গত দু’দিন ধরে ব্যাপক জল্পনা-কল্পনা চলতে থাকে।
অবশ্য এসময় মেইন অফিসের এমডি ডঃ এমএমএ কাদের দপ্তরে তিনি ছিলেন না। এতে শ্রমিক- কর্মচারীরা আরো উত্তেজিত হয়ে পড়েন।
তারা বলেন, শ্রমিকদের বকেয়া টাকা দিতে হবে বিধায় এমডি ইচ্ছাকৃতভাবে আজ অফিসে আসেনি। উত্তেজিত শ্রমিকদের শান্ত করতে এক পর্যায় মিলের জিএম(প্রশাসন) একরাম খন্দকার তার কার্য়ালয়ের সামনে দাঁড়িয়ে কিছু কথা বলেন।
এসময় ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) চিং সু উ মারমা, হিসাব কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন, সিবিএ নেতা আনোয়ার হোসেন বাচ্চু, আবদুল রাজ্জাকসহ বিপুল সংখ্যক স্থায়ী, অস্থায়ী শ্রমিক উপস্থিত ছিলেন।
পরে জিএম( প্রশাসন) এমডি ডঃ কাদেরের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এবং বকেয়া বেতন (মার্চ,এপ্রিল-১৯) মাসের বেতন ও একটি বোনাস দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানান।
এসময় সিবিএ সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক যথাক্রমে আবদুল রাজ্জাক ও আনোয়ার হোসেন বাচ্চু শ্রমিকদের জানান, বকেয়া দু’বেতন ও এক বোনাস দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এবিষয়ে রাঙামাটির সাংসদ দীপংকর তালুকদার এমপি বিসিআইসি’র চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলেছেন বলেও তারা জানায়। এরপর শ্রমিকরা কাজে ফিরে যায়। পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে।