Notice: Trying to get property 'post_excerpt' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 53

Notice: Trying to get property 'guid' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 55

বদরখালী সমিতির জলাধার ভরাট অপকর্মের সত্যতা মিলেছে

চকরিয়া প্রতিনিধি:

চকরিয়া উপজেলার উপকূলীয় বদরখালীতে পরিবেশ আইন লঙ্ঘনের মাধ্যমে সেলো মেশিন বসিয়ে জলাধার ভরাটের অপকর্মের সেই সত্যতা পেয়েছে কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তর।

সোমবার(৫ নভেম্বর) সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরির্দশন করে বদরখালী সমিতির কর্মকর্তাদের এ অনিয়মের ঘটনাটির সত্যতা মিলেছে বলে নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মো.মুমিনুল হক।

তিনি বলেন, জলাধার ভরাটের ঘটনায় বদরখালী সমিতির সভাপতি সম্পাদকসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে গত ১৯ সেপ্টেম্বর রিদুয়ানুল হক নামের একজন পরিবেশ সচেতন ব্যক্তি পরিবেশ অধিদপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

তাঁর ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে সোমবার (৫ নভেম্বর) সকালে সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়। ওই সময় মেশিন বসিয়ে সাগর চ্যানেলের তলদেশ থেকে বালু উত্তোলনপূর্বক বদরখালী সমিতির মালিকানাধীন জায়গা (জলাধার) ভরাটের দৃশ্যটি ধরা পড়ে। জলাধার ভরাট পরিবেশ আইনে ফৌজদারি অপরাধ। অপরদিকে সাগর চ্যানেলের তলদেশ থেকে বালু উত্তোলনের কেনো অনুমোদনও নেই সমিতির সংশ্লিষ্টদের কাছে। এমনকি স্থানীয় প্রশাসনও বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নন।

পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মো.মুমিনুল হক বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আমরা অভিযোগের সত্যতা পেয়েছি, বিষয়টি চলতি সপ্তাহে পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালকের দপ্তরে জানানো হবে। সেখান থেকে নির্দেশনার আলোকে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেবে কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তর।

বদরখালী সমিতির সভ্যরা জানিয়েছেন, সমিতির মালিকানাধীন বাজারের পশ্চিম অংশে শতবছরের পুরানো একাধিক গর্ত (বর্ধিত খাই জায়গা) রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে এসব গর্তে অন্তত ২০ একরের মতো জায়গা আছে। প্রতিবছর বর্ষাকালে বাজারের বৃষ্টির পানি গড়িয়ে পশ্চিম অংশের ওই গর্ত গুলোতে জমাট হয়। ক্রমান্নয়ে তা পশ্চিম অংশের সাগর চ্যানেলে নেমে যায়। ফলে বাজার ও আশপাশ এলাকা জলাবদ্ধতার কবল থেকে মুক্ত থাকে।

সভ্যদের মতে, বৃষ্টির পানি গড়িয়ে পড়ে জমাটের পাশাপাশি সমিতির পক্ষ থেকে খাই গর্তের উল্লেখিত পরিমাণ জায়গা প্রতিবছর নিলামের মাধ্যমে সর্বোচ্চ ডাককারীকে মৎস্য চাষের জন্য ইজারা দেয়া হয়। সর্বশেষ ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসে উল্লেখিত পরিমাণ খাই গর্তের জায়গা দুইবছর (২০১৮ ও ১৯ সালের জন্য) মেয়াদে ১৬ লাখ ১০ টাকা সর্বোচ্চ ডাককারী বদিউল আলম মানিক নামের একজনকে ইজারা দেয়া হয়েছে।

অভিযোগ উঠেছে, জলাধার ভরাটের পর সেখানে বাণিজ্যিক মার্কেট নির্মাণের মাধ্যমে দোকান বরাদ্দখাতে নিজেরা বড় ধরনের আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য পরিবেশ বিধ্বংসী একাজের নেপথ্যে রয়েছেন বদরখালী সমিতির সভাপতি হাজি নুরুল আলম সিকদার ও সম্পাদক একেএম ইকবাল বদরী।

অপরিকল্পিতভাবে জলাধার ভরাটের ফলে ওই এলাকায় প্রাকৃতিক পরিবেশের সুরক্ষা চরম হুমকিতে পড়েছে। এতে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে নানা প্রজাতির জীববৈচিত্র। অপরদিকে জলাধার ভরাট হলে বর্ষাকালে পানি চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এতে এলাকায় ব্যাপক জলাবদ্ধতার সঙ্গে বন্যার আশঙ্কাও করছেন স্থানীয় পরিবেশ সচেতন মহল।

অবশ্য পরিবেশ আইন লঙ্ঘনে জলাধার ভরাটের আগমুহূর্তে গত সেপ্টেম্বর মাসের ১৯ তারিখ বিষয়টির আলোকে কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন বদরখালী সমিতির সভ্য ও স্থানীয় পরিবেশ সচেতন নাগরিক মো. রিদুয়ানুল হক। তাঁর ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে সোমবার সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের পরির্দশক মো.মুমিনুল হক।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন