বনায়নের মাধ্যমে পার্বত্যাঞ্চলকে সবুজ অরণ্যে পরিণত করা হবে: প্রধান বন সংরক্ষক

কাপ্তাই প্রতিনিধি:

বনায়নের মাধ্যমে পার্বত্যঞ্চলকে সুবজ অরণ্যে পরিণত করা হবে। পার্বত্যাঞ্চলে পুরাতন ঐতিহ্য দেশিও প্রাজাতির বিভিন্ন গাছ রোপন করা হবে।

প্রধান বন সংরক্ষক শফিউল আলম চৌধুরী পার্বত্য চট্রগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের প্রাকৃতিকভাবে জন্মনো চারা সংরক্ষণ (এ এন আর), পরির্দশ কালে এ কথা বলেন।

তিনি কাপ্তাই তথা দক্ষিণ বন বিভাগের আলী খিয়ং, ফারুয়া, তক্তা নালা বিটে দীর্ঘ মেয়াদী এ.এন.আর চারা সরজমিনে  পরিদর্শন করেন। এবং দেশিও আম, জাম, বেল, আমলকি, সিভিট, কর্ণরী, গুটগুটিয়া, চিকরাশি, বইলাম, ঢার্কিজাম, বহড়া, জাম্বুরা, গর্জণ, বাঁশ, কদম, জারুল তৈলসই-সহ বিভিন্ন প্রজাতির রোপনকৃর্ত গাছের চারা রক্ষার্থে স্থানীয় জনগণের সচেতনতা বৃদ্বি, প্রশাসনের সহযোগিতা, প্রচেষ্টা, কমিউনিটি, হেডম্যান, কার্বারী, ও ভিলিজারদের সাথে এ ব্যাপারে কথা বলেন।

আলীখিয়ং ও ফারুয়া রেঞ্জর  প্রায় ১৭৫ হেক্টর জায়গার ওপর কয়েক লাখ দেশিও প্রাজাতির গাছ ও পশুখাদ্য বাগান  ইতিমধ্যে সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া কাপ্তাই-কর্ণফুলী রেঞ্জের ২৫০হেক্টর জায়গায় এ চারা রোপন কার্যক্রম ও সম্পন্ন হয়েছে বলে উল্লেখ করেন। প্রধান বন সংরক্ষক এ.এন.আর চারার মান সঠিক পরিচর্যা এবং বেড়ে উঠার সব কিছু  পরিদর্শন করে সন্তোষ প্রকাশ করেন। দক্ষিণ বন বিভাগের জনবল সংকটের ফলে সঠিক কার্যক্রম হচ্ছে না । জনবল আরও বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে বনমন্ত্রণালয়ে আলোচনা করা হবে বলে উল্লেখ করেন।

সোমবার(৩ ডিসেম্বর) প্রধান বন সংরক্ষক পরিদর্শনকালে এ সময় বন সংরক্ষক সানা উল্লা পাটোয়ারী, মো. তৌফিকুল ইসলাম(ডিএফও), মো. রুহুল আমিন(ডিএফও), সহ বিভিন্ন বিভাগীয় কর্মকর্তা, সহকারী বনসংরক্ষক, রেঞ্জ কর্মকর্তা ও বিট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন