বর্তমান মন্ত্রিপরিষদে আওয়ামী লীগের মাত্র দু’জন অন্যরা বাম: শাহ মোয়াজ্জেম

 নিউজ ডেস্ক

শাহবাগের অপকর্মই সরকারের বিরুদ্ধে বুমেরাং হয়ে দাঁড়াবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক উপপ্রধানমন্ত্রী শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন।

তিনি বলেছেন, ‘সরকার নিজেদের সকল ব্যর্থতা ও অপকর্ম ঢাকার জন্য কিছু সংখ্যক নাস্তিককে শাহবাগে বসিয়েছে। তারা আল্লাহ রাসুলের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে। শাহবাগের অপকর্মই তাদের বিরুদ্ধে বুমেরাং হয়ে দাঁড়াবে।’

শুক্রবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।

সব রাজবন্দি ও মাহমুদুর রহমানের মুক্তি, বর্তমান রাজনৈতিক সঙ্কট থেকে উত্তরণের পথ শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে জিয়া একাডেমী।শাহ মোয়াজ্জেম বলেন, “বেগম খালেদা জিয়াকে পাকিস্তান চলে যেতে বলছেন প্রধানমন্ত্রী। আমি তাকে বলব, মুক্তিযুদ্ধের সময় আপনি যেখানে ছিলেন, সেখানে চলে যান। মঈন-ফখরুদ্দিন অনেক চেষ্টা করেছে পারেনি। তিনি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত দেশ ছেড়ে যাবেন না।”

তিনি বলেন, “জামায়াতকে নিয়ে আন্দোলন করে আওয়ামী লীগ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা চালু করেছে। তখন এটা হালাল ছিল। নিজেদের ব্যর্থতার কারণে জনগণ প্রত্যাখ্যান করবে সে কারণে এটা এখন হারাম হয়ে গেছে।”

তিনি বলেন, “বঙ্গবন্ধু যতদিন বেঁচে ছিলেন তিনি আমার নেতা ছিলেন। কারণ আমার বাবা যদি খোঁড়া হয়, তাহলে তাকে বাবা বলতে হবে। সে সময় আমি তার সঙ্গে রাজনীতি করেছি।”

দুদক চেয়ারম্যানের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে বিশ্বব্যাংক এসএনসি লাভালিনকে ১০ বছর নিষিদ্ধ করায় দুদক চেয়ারম্যান অভিনন্দন জানালেন। আমি বলতে চাই, তাহলে আপনি কী করছেন? আপনি কি জানেন না, কার কার কাছে দুর্নীতির টাকা গেছে, তাদের বিরুদ্ধে কেন মামলা করলেন না?”

শাহ মোয়াজ্জেম বলেন, “বাংলাদেশের রাজনীতিতে গুম, খুন, নিখোঁজ- এই শব্দগুলো আগে ছিল না, বর্তমান সরকার এনেছে।”

দৈনিক আমার দেশ ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের গ্রেফতারের নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, “মাহমুদুর রহমান মানুষের মতো মানুষ। তিনি বাঘের বাচ্চা। তিনি কোনো অন্যায় কথা বললে তার জন্য প্রেস কাউন্সিল দেখবে, কেন তাকে আটক করা হয়েছে।”

সংগঠনের সভাপতি  নূর মোহাম্মদ খানের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার এম হায়দার আলী, নির্বাহী কমিটির সদস্য ইসমাইল হোসেন বেঙ্গল সংসদ সদস্য রাশেদা আক্তার হীরা, সাবেক এমপি হাসান উদ্দিন সরকার , যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাইফআলী খান ও গিয়াস উদ্দীন মামুন প্রমুখ।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন