বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া ও সীমান্ত সড়ক নির্মাণ করা হবে- মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ

Bjb satkania pic-24.6

স্টাফ রিপোর্টার:

বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে সুরক্ষা ও চোরাচালান রোধে ১১৭ কিলোমিটার সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করা হবে। পাশাপাশি স্থলপথে পাকা সড়ক নির্মাণেরও পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

 

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার বাইতুল ইজ্জত ট্রেনিং সেন্টারে বিজিবির ৮৪তম ব্যাচের সমাপনী কুজকাওয়াজ শেষে বিজিবির মহাপিরচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহম্মেদ সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

মঙ্গলবার সমাপনী কুচকাওয়াজে অনুষ্ঠানে এসময় বিজিবির চট্টগ্রাম দক্ষিণ পূর্ব অঞ্চলের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহম্মদ আলী, বান্দরবান সেনা বাহিনীর রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নকিব আহমদ চৌধুরী, বিজিবির ট্রেনিং সেন্টার অ্যান্ড স্কুলের কমান্ড্যান্ট কর্নেল মো. আশরাফুল আলম, কর্নেল একেএম সাইফুল ইসলামসহ সেনাবাহিনী ও বিজিবির উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেন, মিয়ানমারের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নে বিজিবি অত্যন্ত আন্তরিক। বাংলাদেশের সঙ্গে তারা চোরাচালান রোধে ভুমিকা রাখবে বলে দাবি করে তিনি বলেন, সীমান্ত এলাকায় ইয়াবা চোরাচালান ঠেকাতে ইতোমধ্যে মিয়ানমারের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের দেশে ইয়াবা তৈরির কোনো কারখানা নেই।

তিনি আরও জানান, সীমান্তে নিরাপত্তা পরিস্থিতি জোরদার করার জন্য সারাদেশে আরও চারটি সেক্টর ও ছয়টি ব্যাটালিয়ন হেডকোয়ার্টার নির্মাণ করা হবে। এছাড়া সীমান্তে ৮৫টি নতুন বিওপি স্থাপন করা হচ্ছে। আরো ৬৫টি বিওপি স্থাপানের প্রক্রিয়ায় রয়েছে।

তিনি জানান, বাংলাদেশ-ভারত ও মায়ানমার সীমান্তে ৯৩৫ কিলোমিটার সীমান্ত সড়ক ও ২৮৫ কিলোমিটার কাঁটা তারের বেড়া নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

বিজিবির আধুনিকায়নের কথা উল্লেখ করে মহাপরিচালক বলেন, আধুনিক প্রক্ষিণের মাধ্যমে বিজিবিকে ঢেলে সাজানো হয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় ১৪ হাজার ৯৩৮ জনকে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে এবং গত চার বছরে ১৬ হাজার ৯৮৬ নবীন সৈনিক নেয়া হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার সকালে কুচকাওয়াজের সালাম গ্রহণ করেন বিজিবির মহাপরিচালক। পরে ৮৪ তম ব্যাচের ১১৪৪ জন নবীন সৈনিকদের মধ্যে থেকে পাঁচজনকে শ্রেষ্ঠ সৈনিককে পুরস্কার দেয়া দেন মহাপরিচালক। এবার সর্ববিষয়ে সেরা সৈনিক নির্বাচিত হন এম আরাফাত হোসেন।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: পার্বত্যনিউজ, বাংলাদেশ-মিয়ানমার, বিজিবি
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন