বাইশারী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র সড়কটির করুন দশা! 

fec-image

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি হলো বাইশারী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের যাওয়া আসার রাস্তাটি। প্রতিদিন সড়কটি দিয়ে শুধু পুলিশ সদস্যরা চলাচল করেনা।  দক্ষিন বাইশারী,পার্শ্ববর্তী রামু উপজেলার কয়েক হাজার মানুষ সহ স্কুল কলেজ মাদ্রাসা মক্তব পড়ুয়া কয়েক শতাধিক ছাত্র ছাত্রীরা চলাচল করে থাকে। এই জন গুরত্বপুর্ণ সড়কটি দীর্ঘকাল যাবৎ মেরামত না করায় করুন দশায় পরিনত হয়েছে।

সরজমিনে দেখা যায় বাইশারী বাজার হয়ে তদ্ন্ত কেন্দ্র যাওয়ার পথে কাপ্তাই শিয়া, সাংগু ফরেস্ট অফিস সংলগ্ন রাস্তার মাথায় গাড়ি চলাচল তো দুরের কথা হেটে যাওয়ার সময় পা কাদা মাটিতে পিচলিয়ে অনেক দুরে যেয়ে পড়ে গুরুতর আহত হয়ে যাচ্ছে লোকজন।

স্থানীয় বাসিন্দা আবদুর রহমান ও মুফিজুর রহমান জানান, দৈনিক অনেক লোকজম ও ছাত্র ছাত্রীরা পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত সহ বই খাতা কলম নষ্ট হয়ে যাচ্ছে এবং অনেকে আহত হয়েছেন।

স্থানীয়রা আরো জানান, একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান গত ৪ মাস আগে সড়কটি মেরামতের নামে ইট গুলো তুলে লাপাত্তা হয়ে যায়। যার ফলে এখন দুর্ভোগ আরও চরমে পরিনত হয়েছে।

বাইশারী পুলিশ তদন্তকেন্দ্রটি পুরো বাইশারী এলাকা সহ পার্শ্ববর্তী রামু উপজেলার কয়েকটি গ্রামের জন্য নিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা।

সড়কটির করুন দশায় পরিনত হওয়ায় সহজে গাড়িযোগে তদন্ত কেন্দ্র থেকে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছানো সম্ভব হবেনা। শুধু মাত্র সড়কের পাঁচশত গজ জায়গা মেরামত না হওয়ায় অর্ধলাখ লোকের জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। নিরাপত্তা রক্ষীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে না পৌছালে বর্ষা মৌসুমে সন্ত্রাসী চোর ডাকাতের উপদ্রব বেড়ে যাওয়ার সম্ভানা রয়েছে।

এ বিষয়ে বাইশারী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সহকারী ইনচার্জ (উপ পরিদর্শক) মাঈনুদ্দিন বলেন সড়কের বেহাল দশার জন্য কোন কাজে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছা মুশকিল হয়ে পড়েছে।
যার কারণে জন নিরাপত্তা এখন হুমকির মুখে। তিনি সড়কটি দ্রুত মেরামতের জন্য সংষ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

এবিষয়ে বাইশারী ইউপি চেয়ারম্যান মো. আলম কোম্পানি বলেন, আমি নিজেই ঘটনাস্হল পরিদর্শন করেছি। নিরাপত্তা ও শান্তির জন্য পুলিশ সদস্যরা যাহাতে দ্রুত ঘটনাস্থল পৌছাতে পারে এবং জনসাধারণও যেন চলাচল করতে পারে সকল বিষয় চিন্তা করে উক্ত জায়গার জন্য একটি বিশেষ প্রকল্প বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। অচিরেই কাজ শুরু হয়ে যাবে ইনশা আল্লাহ।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: বাইশারী
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন