বান্দরবানে আ.লীগ নেতার বিরুদ্ধে ৪০ লাখ টাকা দুর্নীতির অভিযোগ

images9
 
 
স্টাফ রির্পোটার, বান্দরবান :
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তসলিম ইকবাল চৌধুরীর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, খাদ্যশস্যসহ প্রায় ৪০ লাখ টাকার সরকারি সম্পদ দূর্ণীতির অভিযোগ উঠেছে। সাংসদ বীর বাহাদুরের কাছে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর করা অভিযোগ তদন্তে একটি কমিটি করা হয়েছে বলে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী মুজিবর রহমান জানিয়েছেন। তবে তসলিম ইকবাল অবশ্য একটি পয়সাও আত্মসাৎ করেননি দাবি করে বলেন, তদন্তে যদি কেউ প্রমাণ করতে পারে, তিনি দল থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করবেন।
 
আওয়ামী লীগের নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউপির সাধারণ সম্পাদক তারেক রহমান, ছাত্রলীগের উপজেলা সভাপতি সাইফুদ্দিন শিমুল বলেছেন, আওয়ামী লীগের নেতাদের মাধ্যমে নাইক্ষ্যংছড়িতে সাংসদের বরাদ্দ, জেলা পরিষদ ও পার্বত্য মন্ত্রণালয় থেকে বিভিন্ন সময়ে প্রায় ৭০০ টন খাদ্যশস্য দেওয়া হয়েছিল। ওই খাদ্যশস্যের প্রকল্প কমিটির সভাপতির হাতে প্রতি টনে দুই-তিন হাজার টাকা করে দিয়ে তসলিম ইকবাল সমস্ত টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এ অর্থের বিনিময়ে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নলকূপ ও কৃষি বিভাগের পাওয়ার টিলার বিতরণ, চাকরি দেওয়ার নামে চাঁদা আদায়, নিরীহ মানুষের ভূমি দখলসহ বিভিন্ন সরকারি সম্পদ দখল করে তসলিম লাখ লাখ হাতিয়ে নিয়েছেন বলে লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
 
নাইক্ষ্যংছড়ি বাজার পাড়ার শ্মশান কমিটির সভাপতি ক্যালিমং মারমা বলেছেন, তাঁদের শ্মশান সংস্কারে দুই টন চাল দেওয়া হয়েছিল। তসলিম দুই টনে মাত্র পাঁচ হাজার টাকা দিয়েছেন। নিজের আরও পাঁচ হাজার টাকা খরচ করে তিনি শ্মশানের কাজ করেছেন বলে ক্যালিমং জানিয়েছেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ক্রাহ্লা অং, প্রচার সম্পাদক শাহ আলম বলেন, তাঁদেরও তসলিম ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাবিবুল্লাহ দুই টনে পাঁচ হাজার টাকা করে দিয়েছিলেন। পরে নিজের টাকায় প্রকল্পের কাজ করতে হয়েছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাবিবুল্লাহকে যোগাযোগ করে পাওয়া যায়নি।
 
তসলিম ইকবাল বলেছেন, তাঁর ভালো কাজ দেখে দলের অনেকে ঈর্ষাণ্বিত হয়ে তাঁর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। তিনি কোনো চাঁদাবাজি করেননি এবং তাঁর মাধ্যমে কোনো খাদ্যশস্য বরাদ্দ দেওয়া হয়নি বলেও দাবি করেন। জেলা পরিষদের সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অভিযোগের কথা স্বীকার করে বলেছেন, নাইক্ষ্যংছড়ি আওয়ামী লীগে কিছু সমস্যা রয়েছে। অভিযোগটি তদন্তের জন্য ২৬ নভেম্বর তিনি সেখানে যাচ্ছেন।
Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: আওয়ামী লীগ, দুর্নীতি
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন