বান্দরবানে ডেঙ্গু, বন্যা ও পাহাড়ের অস্থিতিশীল পরিস্থিতির প্রভাব পর্যটন ব্যবসায়

fec-image

ঈদুল আযহা উপলক্ষে টানা নয় দিনের ছুটি থাকলেও এখনো পর্যন্ত হোটেল মোটেল ব্যবসায়ীরা আগাম রুম বুকিং পায়নি। অন্যবার ঈদের ছুটিতে বেড়াতে যাওয়ার জন্য কয়েক সপ্তাহ আগ থেকে হোটেল-মোটেল, গেষ্ট হাউস গুলো বুকিং হয়ে যায়। ঈদের সময় পর্যটকের ঢল নামে। কিন্তু এবারের ঈদে ভিন্ন চিত্র দেখা যাচ্ছে। এতে হতাশা দেখা দিয়েছে পর্যটন ব্যবসায়ীদের মাঝে।

মন্দা এই পরিস্থিতিরি জন্য সম্প্রতি সময়ে ছড়িয়ে পড়া ডেঙ্গু রোগ, বন্যা ও পাহাড়ের অস্থিতিশীল পরিবেশকে দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা। কারণ, বর্তমানে মানুষের মধ্যে ডেঙ্গু আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এ জন্য মানুষ কোথাও যাচ্ছে না। অনেকে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে। তাই হয়তো সেই ভয়ে কেউ ঘুরতে আসছে না। অন্যদিকে পাহাড়ের অস্থিতিশীল পরিবেশকেও পর্যটক না আশার কারণ হিসেবে দেখছেন এসব ব্যবসায়ীরা।

জেলা শহরের বিভিন্ন হোটেল-মোটেল ও গেষ্ট হাউস গুলোতে খবর নিয়ে জানা গেছে- এবার ঈদে আগাম বুকিং নেই বললেই চলে। টানা ৯ দিন বন্ধ থাকলেও ১৪ ও ১৫ আগস্ট ২ দিন কয়েকটি হোটেলে কিছু সংখ্যক রুম বুকিং রয়েছে। যা একেবারেই নগন্য। অন্যান্য বছর ঈদের ছুটিতে প্রচুর পর্যটকের সমাগম ঘটে। পর্যটন স্পট গুলোতে থাকে পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়। তিল ধারণের ঠাঁই হয় না জেলার বিভিন্ন হোটেল-মোটেল ও গেষ্ট হাউস গুলোতে।

নীলগিরি সড়কস্থ বন নিবাস রিসোর্ট এর পরিচালক মো: আইয়ুব জানান, এবার ঈদে আমাদের কোন আগাম বুকিং নেই। অন্যান্য বছর ঈদের ছুটিতে আগাম রুম বুকিং হয়ে যেত। আমরা পর্যটকদের রুম দিতে হিমশিম খেতে হত। আমাদের ১৬টি রুম রয়েছে। এর মধ্যে শুধুমাত্র ১৪-১৫ আগস্ট আমাদের ৪/৫ টা রুম বুকিং হয়েছে।

মেঘলার হলিডে ইন রিসোর্ট এর ব্যবস্থাপক মো: জাহিদ বলেন, এবার ঈদে আশা করছিলাম অনেক পর্যটকের সমাগম ঘটবে। কিন্তু টানা ৯ দিন বন্ধ থাকা সত্ত্বেও ১৪-১৫ আগস্ট কয়েকটি রুম বুকিং হয়েছে। যা আশানুরূপ নয়।

হোটেল মোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বলেন- আমরা আশা করছিলাম টানা বন্ধ থাকায় এবার পর্যটকদের বেশ সমাগম হবে। কিন্তু তা একেবারেই ভিন্ন। ঈদে আশানুরূপ পর্যটক না আসার সম্ভাবনা তৈরী হয়েছে।

পুলিশ সুপার জাকির হোসেন মজুমদার জানান, পর্যটকরা যাতে নিরাপদে ভ্রমণ করতে পারে সে লক্ষে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়াও টুরিস্ট পুলিশ রয়েছে, তারা সার্বক্ষণিক টহল দিচ্ছে। আর এখানে এসে কোনো পর্যটক যাতে কোনো ধরনে হয়রানির শিকার না হয় সেই দিক সজাগ দৃষ্টি রাখা হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন