বান্দরবানে পাশের হার ৫৪.৫৭%, জিপি ৫ পেয়েছে ৩০জন, শীর্ষে ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ

V0iGrrr
 
জমির উদ্দিন:
উচ্চ মাধ্যমিক (এইচ এসসি) ও সমমানের পরীক্ষার প্রকাশিত ফলাফলে বান্দরবান ক্যান্টপাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ শীর্ষে রয়েছে। বান্দরবানে ৫ টি কলেজ ও ১টি কারিগড়ি প্রশিক্ষন কেন্দ্রের ১১৬৭ জন পরীক্ষার্থী মাঝে ৬৫১ জন শিক্ষার্থী পাস করেছে এবং ২টি কলেজের পরীক্ষার্থী জিপি ৫ পেয়েছে ৩০ জন ও জেলার এইচ এসসি তে পাশের হার ৫৪.৫৭%। শনিবার প্রকাশিত ফলাফলে বান্দরবান ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজে ১১০জন পরিক্ষার্থীর মাঝে ১০৮ জন পরিক্ষার্থী পাস করেছে। এর মধ্যে ২৮ জন পরিক্ষার্থী জিপি ৫ পেয়েছে। বিজ্ঞান বিভাগে ৪৫ জনে ৪৫ জন পাস করে ১৩ জন জিপি-৫ এবং বাণিজ্য বিভাগে ৬৫ জনে ৬৩ পাস করে জিপি-৫ পেয়েছে ১৫জন। পাশের হার ৯৮.১৮%।
লামা উপজেলার মাতামুহুরী কলেজে ২৩৯ জন পরিক্ষার্থীর মাঝে ১৯৪ জন পরিক্ষার্থী পাস করছে। বিজ্ঞান বিভাগে ১৭জনে ১৭ জন পাস, মানবিক বিভাগে ১৩৬ জন পাস করেছে ১৬৭ জন পরিক্ষার্থীর মধ্যে, এবং বাণিজ্য বিভাগে ৪১ জন পাস করেছে ৫৫জন পরিক্ষার্থীর মাঝে। পাশের হার ৮১.১৭%, জিপি-৫ নাই। নাইক্ষংছড়ি উপজেলার হাজী এমএ কালাম কলেজে ৮৪ জন পরিক্ষার্থীর মাঝে ৪৬ জন পরিক্ষার্থী পাস করেছে। বিজ্ঞান বিভাগে ২ জনে ২ জন পাস, মানবিক বিভাগে ৩৩ জন পাস করেছে ৫৪ জন পরিক্ষার্থীর মধ্যে, এবং বাণিজ্য বিভাগে ১১ জন পাস করেছে ২৮ জন পরিক্ষার্থীর মাঝে। পাশের হার ৫৪.৭৬%।
বান্দরবান সরকারী মহিলা কলেজে ২৩৫ জন শিক্ষার্থীর মাঝে ১০৩ জন শিক্ষার্থী পাস করে ২জন জিপি ৫ পেয়েছে। বিজ্ঞান বিভাগে ২৪ জনে ১৯ জন পাস, মানবিক বিভাগে ৫৩ জন পাস করেছে ১৪৭ জন পরিক্ষার্থীর মধ্যে, এবং বাণিজ্য বিভাগে ৩১ জন পাস করেছে ৬৪জন পরিক্ষার্থীর মাঝে। বিজ্ঞান বিভাগে ২জন পরিক্ষার্থী জিপি-৫ পেয়েছে। পাশের হার ৪৩.৮৩%। বান্দরবান সরকারী কলেজে ৪৪৮ জন শিক্ষার্থীর মাঝে ১৫৮ জন শিক্ষার্থী পাস করেছে। বিজ্ঞান বিভাগে ১৪জনে ৩ জন পাস, মানবিক বিভাগে ৬৫ জন পাস করেছে ২১৮ জন পরিক্ষার্থীর মধ্যে, এবং বাণিজ্য বিভাগে ৯০ জন পাস করেছে ২১৬ জন পরিক্ষার্থীর মাঝে। পাশের হার ৩৫.২৭%।
 
অপরদিকে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে পাস করেছে ৪২ জন, পরীক্ষার্থী ছিল ৫১ জন। জেলায় সবচেয়ে খারাপ ফলাফল করেছে জেলার সবচেয়ে প্রাচীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বান্দরবান সরকারি কলেজ। খারাপ ফলাফলের জন্য অযোগ্য অধ্যক্ষ, শিক্ষক সংকটসহ প্রয়োজনীয় অবকাঠামো না থাকাকে দায়ী করেছে অভিভাবকরা।
 
 
Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন