“ গণপিটুনিতে অংশ নেওয়া ব্যক্তির বিরুদ্ধে ফৌজদারী আইনে মামলা হবে।”

বান্দরবানে বিভিন্ন মসজিদে ‘গুজব’ রোধে সচেতনতামূলক প্রচারণা

fec-image

ছেলে ধরা গুজব ও গণপিটুনি রোধে প্রতিটি মসজিদে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালিয়েছে বান্দরবান জেলা পুলিশ। শুক্রবার বান্দরবান জেলা শহর ছাড়াও সাত উপজেলায় প্রত্যেক মসজিদে জুমার নামাজে পুলিশ কর্মকর্তারা এই প্রচারণা চালান।

বান্দরবান কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে সদর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন- দেশের কয়েকটি এলাকার ন্যায় বান্দরবানে দুই একটি ছেলে ধরা গুজবে গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে। অন্যায়ভাবে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার ঘটনায় থানায় একটি মামলাও হয়েছে। যে দুটি ঘটনা ঘটেছে তারা দুইজন মানসিক ভারসাম্যহীন নারী ছিলেন। এই ধরনের গুজবের মিথ্যা অপবাদ ছড়িয়ে একটি মহল স্বাভাবিক পরিস্থিতিকে ঘোলাটে করতে চাইছে। তাই মুসজিদে উপস্থিত মুসল্লীদের মাধ্যমে গুজবে কান না দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

নাইক্ষ্যংছড়ি থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনোয়ার হোসেন থানা জামে মসজিদে বলেন, ছেলে ধরা গুজব সম্পর্কে সার্বক্ষণিক সচেতন রয়েছে পুলিশ। সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া ঘটনা বিশ্লেষনে দেখা গেছে কোন ঘটনাই ছেলে ধরা বা অপহরণকারী ছিলনা। এটি শুধুমাত্র গুজব। আর ইসলামী দৃষ্টিভঙ্গিতে কাউকে হত্যা করা মহাপাপ। নিরীহ মানুষকে গণপিটুনি দিয়ে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া যাবেনা। গণপিটুনিতে অংশ নেওয়া ব্যক্তির বিরুদ্ধে ফৌজদারী আইনে মামলা হবে। কাউকে সন্দেহ হলে অবশ্যয় পুলিশকে খবর দিবেন অথবা ৯৯৯ নাম্বারে কল করে তথ্য জানান।

এছাড়াও জেলার রোয়াংছড়ি ওসি শরিফুল ইসলাম, আলীকদম ওসি রফিক উল্লাহ, লামা ওসি আপ্পেলা রাজু নাহা, থানচি ওসি জোবাইরুল ইসলামসহ পুলিশ কর্মকর্তারা জেলার প্রতিটি জামে মসজিদে উপস্থিত হয়ে গুজব রোধে সচেতনতামূলক বক্তব্য রাখেন। এসময় মসজিদের খতিবরাও বলেন- সৃষ্টির শ্রেষ্ঠতম হচ্ছে মানুষ। একজন মানুষ হত্যা মানে পুরো মানবজাতিকে হত্যার মতো অপরাধ।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন