বান্দরবান জেলা পরিষদের টোল পয়েন্ট ইজারা বাতিল চেয়ে অভিযোগ

fec-image

বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের টোল পয়েন্ট ইজারা দরপত্রে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। দরপত্র জমা দেয়া নিয়ে হাতাহাতি, প্রভাব বিস্তার এবং অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে দরপত্র বাতিল ও পুনরায় দরপত্র জমা নেয়ার দাবি করে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের সচিবের বরারবর একটি অভিযোগ ও দিয়েছেন কয়েকজন ঠিকাদার।

জানা গেছে, গত ২০ জুন (বৃহস্পতিবার) বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের নিয়ন্ত্রনাধীন দশটি টোল পয়েন্টের দরপত্র শিডিউল জমা দেয়ার তারিখ নির্ধারিত ছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের আগেই টেন্ডার বক্স লুকিয়ে ফেলেন দায়িত্বে থাকা পরিষদের কর্মচারীরা। ফলে অনেকেই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে উপস্থিত হয়েও দরপত্র জমা দিতে পারেননি।

“টংকাবতী ইউনিয়নের দক্ষিণ হাঙ্গও মৌজায় বাইয়ার পাড়া সড়ক পথ ও হাতির ডেরা সড়ক পথ এবং ভাগ্যকুল-ঠাকুরদীঘি সড়ক পথের” দরপত্র জমা দিতে ব্যর্থ হওয়া নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ঠিকাদার জানিয়েছেন, বেলা এগারোটার দিকে টংকাবতী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা আরিফসহ দশ বারোজন উশৃঙ্খল যুবক টেন্ডার বাক্সের দখল নেন।

এ সময় তারা কাউকে শিডিউল জমা দিতে দিচ্ছিলেন না। দরপত্র জমা দিতে বাধা দেয়ার কারণ জানতে চাইলে জেলা পরিষদের কর্মকর্তা ও এক সদস্যের সামনেই তারা মারমুখী ও উশৃঙ্খল আচরণ করেন। পরে বেলা বারোটার আগেই এ বিষয়ে কোনো সুরাহা না করেই জেলা পরিষদের সদস্য মোজাম্মেল হক বাহাদুর ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা উসিমং এসে বাক্স তুলে নেন। এ সময় তিনি জানান, আর কোনো শিডিউল নেয়া হবে না।

দরপত্র কমিটির দায়িত্বে থাকা জেলা পরিষদের সদস্য মোজাম্মেল হক বাহাদুরের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, দরপত্র জমা নিয়ে কোন প্রকার বিশৃঙ্খলার খবর আমি পাইনি। তাছাড়া দলীয় কাউকে কাজ পাইয়ে দেয়ার বিষয়টিও সঠিক নয়। তবে কোনো প্রকার অনিয়মের অভিযোগ লিখিত পেলে আমরা ব্যবস্থা নেবো।

প্রশাসনিক কর্মকর্তা উসিমং জানান, অভিযোগকারী ঠিকাদাররা সঠিক সময়ে দরপত্র জমা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। তাই শিডিউল নেয়া হয়নি। এখানে কোনো অনিয়মের সুযোগ নেই।

এদিকে এ ব্যাপারে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, ক্য শৈ হ্লা’র কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ধরণের কোন ঘটনাতো আমার জানা নেই। আমি এখন ঢাকায় আছি। কোন অনিয়ম হওয়ার কথা না। আর এ নিয়ে কিছু হলে কেউ না কেউতো আমাকে জানাতো। তারপরও আমি খবর নিচ্ছি। কোন অনিয়ম হয়ে থাকলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: পার্বত্য জেলা, বান্দরবান
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন