বিলাইছড়ির নির্যাতিতা দুই তরুণীর ছবি ফেসবুকে প্রকাশ করায় সমালোচনার মুখে রাঙামাটির এসপি

নিজস্ব প্রতিবেদক:

শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছে দাবি করা দুই উপজাতীয় তরুণীর ছবি ফেসবুকে প্রকাশ করে সমালোচনার মুখে পড়ছেনে পড়েছেন রাঙামাটির পুলিশ সুপার সাইদ তারকিুল হাসান।

রাঙামাটি জেলার বিলাইছড়ি উপজেলার বাসিন্দা মারমা সম্প্রদায়ের ওই দুই কিশোরী ধর্ষণের শিকার হওয়ার অভিযোগ ওঠার পর গত কয়েক দিন রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি ছিল। তাদের নিয়ে পাহাড়ে গত কয়েকদিন নানা নাটকীয়তার জন্ম ও নানামুখী রাজনৈতিক আন্দোলনের পর অবশেষে হাইকোর্টের আদেশে বৃহস্পতিবার দুই কিশোরীকে তাদের পিতা-মাতার জিম্মায় প্রদান করা হয়।

শুক্রবার তাদেরকে দেখতে যাওয়ার পর রাঙামাটি পুলিশ সুপাররে ফেসবুক আইডি ‘এসপি রাঙামাটি’তে উক্ত দুই ভিকটিমের ছবি প্রকাশ করায় পাহাড়ি সমাজের ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন রাঙামাটির পুলিশ সুপার সাঈদ তারিকুল হাসান।

উক্ত ছবি আপলোডের পর সামাজকি গণমাধ্যমে সমালোচনা শুরু হলে বিকেলের দিকে ছবি (এসপি রাঙামাটি) টাইমলাইন থেকে সরিয়ে ফেলা হয়। তবু তাতে ঠাণ্ডা হয়নি পাহাড়ি স্যোশাল এক্টভিস্টিরা। আইন অনুযায়ী ধর্ষিতা বা শ্লীলতাহানীর শিকার কোন নারীর ছবি, নাম ও পরিচয় প্রকাশ করা অপরাধ। এ বিষয়কেই বিষয়টিকেই ফোকাস করা হচ্ছে সমালোচনাগুলোতে।

ফেসবুকে উপজাতীয়দের বিভিন্ন পেইজ ও ফেসবুক আইডি দিয়ে বিষয়টি ছড়িয়ে দিচ্ছে দ্রুত গতিতে। পাহাড়ি বিভিন্ন যুবক-যুবতীসহ নেতৃবৃন্দের ফেসবুক একাউন্ট, বিশেষ করে বহুল বিতর্কিত সিএইচটি জুম্মল্যান্ড পেইজে পুলিশ সুপারের ব্যাপক সমালোচনা করা হচ্ছ।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে রাঙামাটি পুলিশ সুপার সাঈদ তারিকুল হাসান জানান, ধর্ষণ হয়েছে কিনা হয়নি এটা আদালতের বিষয়। এ বিষয়ে আমি কোন মন্তব্য করতে পারবো না। আমরা আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ব্যস্ত, ফেসবুক নিয়ে নয়- এ বলে তিনি কল বিচ্ছিন্ন করে দেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন