বৌদ্ধ ভিক্ষুদের বিক্ষোভ: রোহিঙ্গা নিধনে ধর্মীয় বৈষম্যনীতির প্রমাণ
পার্বত্যনিউজ ডেস্ক:
আরাকানে সেনাবাহিনীর তাণ্ডব চালাকালীন বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন ঠেকাতে বৌদ্ধ সন্যাসীরা যে বিক্ষোভ করেছে, তা প্রমাণ করে রোহিঙ্গা নিধনে ধর্মীয় বৈষম্যনীতির প্রয়োগ হয়েছে। শুধুমাত্র মুসলমান হওয়ার কারণে রোহিঙ্গাদের প্রতি জাতিগত নিধন চালানো হচ্ছে। এমনটি মন্তব্য করছেন বিশ্লেষকরা।
বিশ্লেকরা বলছেন, বৌদ্ধ ভিক্ষুদের কাজ তাদের ধর্ম প্রচার এবং সমাজের মানুষকে পাপ কাজ থেকে বিরত রাখার প্রচেষ্টা করা। কিন্তু বার্মার বৌদ্ধ ভিক্ষুরা নিজেরাই পাপে লিপ্ত। মানুষকে হত্যা করা এবং হত্যা করতে উদ্বুদ্ধ করে জঘন্য পাপ কাজ করছে বার্মার ভিক্ষু সংঘ। বৌদ্ধবাদ পরিপন্থী কাজের উস্কানী দিচ্ছে উইরাথু নামের এক মুসলিম বিদ্বেষী বৌদ্ধ ভিক্ষু। তার উস্কানীতেই গত ২২ অক্টোবর রাজ্যের রাজধানীতে রোহিঙ্গা মুসলমানদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে ভিক্ষু সমাজ ও অতি জাতিয়তাবাদী বৌদ্ধরা।
বিক্ষোভকারীদের অন্যতম নেতা অং হতে’র বরাত দিয়ে বার্মার সংবাদ মাধ্যম ডেমোক্রেটিক ভয়েস অব বার্মা জানিয়েছে, আরাকান রাজ্য ছেড়ে বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়া বাঙালিদের (!) অনেকেই সন্ত্রাসী। আশঙ্কা করা হচ্ছে, তাদের ফিরিয়ে নিয়ে আসা হলে সহিংসতার পুনরাবৃত্তি ঘবে।
বস্তুতঃ বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়া রোহিঙ্গাদের সিংহভাগ নারী ও শিশু। বেশিরভাগ পুরুষকে হত্যা করেছে সেনাবাহিনী ও তাদের লেলিয়ে দেয়া নাডালা দল। তবে কি এ নারী ও শিশুরাই সন্ত্রাসপণায় নিয়োজিত এমন প্রশ্ন আসাটাই স্বাভাবিক।
অংহতে নামের এ ভিক্ষু সংবাদ মাধ্যমকে আরও জানান, পালিয়ে যাওয়া বাঙালিদের ফিরিয়ে নিয়ে আসার প্রকল্প রাখাইনের (আরাকান) বৌদ্ধ জনগণ মেনে নেবে না। সন্ত্রাসীদের সঙ্গে বসবাস করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেন বিক্ষোভকারীদের আরেক নেতা বৌদ্ধ ভিক্ষু ইউ ধামিকা।
তাদের এ মন্তব্য থেকে স্পষ্ট হয় যে, মুসলমানদের সাথে সহাবস্থান চাইছেনা তারা । তাই বারে বারে নীপিড়নের মাধ্যমে রোহিঙ্গা মুসলমানদের দেশ ত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে এবং হচ্ছে।
সূত্র: Arakan Television