ব্র্যাকের অপরিকল্পিত স্যানিটেশন ব্যবস্থা: রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পরিবেশ বিপন্ন
ঘুমধুম প্রতিনিধি:
মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা নিশ্চিতকরার লক্ষ্যে কতিপয় এনজিও সংস্থা কোনো রকম বিজ্ঞপ্তি বা টেন্ডার আহ্বান না করে তড়িঘড়ি করে এক চাকা বিশিষ্ট ল্যাট্টিন স্থাপন করেছে। সপ্তাহ না পেরোতেই ঐসব ল্যাট্টিন পরিপূর্ণ হয়ে মলমূত্রে একাকার হয়ে পড়েছে। ফলে দুর্গন্ধ ও অস্বাস্থ্যকর বিপন্ন পরিবেশে রোগ-বালাই বাড়ছে। এ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন স্থানীয়রা।
সেসব এনজিও সংস্থা বিশেষ করে ব্র্যাকের অনিয়ম, দুর্নীতি ও সেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট অভিযোগ করেছেন স্থানীয় চেয়ারম্যান।
শুক্রবার সরেজমিনে ক্যাম্পের রোহিঙ্গাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এনজিও সংস্থা ব্র্যাক অধিকাংশ ল্যাট্টিন স্থাপন করেছে তাদের নিজস্ব লোকজন দিয়ে। ১০ ইঞ্চি প্রস্থের এসব ল্যাট্টিন ৭ দিন যেতে না যেতেই মলমূত্রে ভর্তি হওয়ায় এখন পুরোপুরি ব্যবহার অযোগ্য। তাছাড়া বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন ক্যাম্পবাসী।
থাইংখালী শফিউল্লাহ কাটা গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা নুরুল ইসলাম অভিযোগ করে জানান, বিভিন্ন এনজিও সংস্থা কর্তৃক বসানো ল্যাট্টিনগুলো ব্যবহার অনুপযোগী হওয়ার কারণে রোহিঙ্গা বিশেষ করে মেয়েরা লজ্জা-শরম ত্যাগ করে বাড়ির আনাচে-কানাচে ঝুপড়িতে মলমূত্র ত্যাগ করছে। যার ফলে স্থানীয়রা দুর্গন্ধে বাড়িতে থাকতে পারছেনা। এতে পরিবেশ বিপন্ন হচ্ছে।
পালংখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী এ ঘটনার সত্যতাস্বীকার করে বলেন, এনজিও সংস্থা ব্রাক ল্যাট্টিন নির্মাণের নামে মোটা অংকের টাকা পকেটস্থ করে নামেমাত্র এক চাকার ল্যাট্টিন দিয়ে পরিবেশ নষ্ট করেছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নিকারুজ্জামান জানান, বিষয়টি নিয়ে ব্র্যাকের কর্মকর্তার সাথে আলোচনা করা হয়েছে। তারা ১ চাকার ল্যাট্টিনের পরিবর্তে ৩ চাকার ল্যাট্টিন নির্মাণের প্রস্তুতি নিয়েছে।
এ ব্যাপারে ব্র্যাকের সেক্টর স্পেশালিস্ট সাইফুল ইসলামের সাথে আলাপ করা হলে তিনি জানান, প্রথম দিকে ল্যাট্টিন স্থাপনের সময় তিনি কর্মস্থলে যোগদান করেননি। বর্তমানে যে সব ল্যাট্টিন স্থাপন করা হচ্ছে তা দীর্ঘস্থায়ী পরিকল্পনা নিয়ে করা হচ্ছে।