‘ভারত ভাগের সময় পার্বত্য চট্টগ্রামে তিন রাজা বৈঠক করে পাকিস্তানের পক্ষে থাকার সিদ্ধান্ত নেয়’

fec-image

১৯৪৭ সালে ভারত ভাগের সময় পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন রাজা(সার্কেল চিফ) বৈঠক করে পাকিস্তানের পক্ষে থাকার সিদ্ধান্ত নেয়। ২০ আগস্ট জাতীয় বাংলা দৈনিক ভোরের ডাকের সম্পাদকীয়তে এ দাবি করা হয়েছে। ‌

‘পার্বত্য চট্টগ্রাম বাংলাদেশে অংশ বিতর্কের সুযোগ নেই’ শিরোনামের সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, ‍” ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের সময় রাজা শাসিত প্রায় ৪০০শ’ টি ব্রিটিশ করদ রাজ্যকে ‘অপশন’ দেয়া হয় তারা কোন দিকে যাবে। তখন রাঙামাটি, বান্দরবান এবং খাগড়াছড়ির রাজারা বৈঠক করে পাকিস্তানে থাকার সিদ্ধান্ত নেয়।

যদিও চাকমা স্টুডেন্ট ফোরাম কলকাতায় রাজাদের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে মিছিল করেছিল। কিন্তু ১৭ আগস্ট রাজ্য ৩টি পাকিস্তানের অর্ন্তভুক্ত হয়ে যায়। ভারত গত ৭০ বছরে পার্বত্য চট্টগ্রামকে তাদের ভূখণ্ড হিসেবে দাবি করেনি।

কিন্তু বর্তমানে উপমহাদেশীয় রাজনীতি একটু জটিল রূপ নিয়েছে। এ সময় ত্রিপুরায় চাকমাদের উদ্ভট দাবি তোলার পেছনে কোনো ষড়যন্ত্র আছে কি না তা খতিয়ে দেখতে হবে এবং সেই মত পররাষ্ট্র দফতরকে কাজ করতে হবে।”

ভারতের বিভিন্ন স্থানে চাকমা ন্যাশনাল কাউন্সিল অভ ইন্ডিয়ার উদ্যোগে ১৭ আগস্ট কালো দিবস পালন ও পার্বত্য চট্টগ্রামকে ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে দাবী করে কর্মসূচি পালনের প্রেক্ষাপটে লেখা সম্পাদকীয়তে আরো বলা হয়েছে, ” ১৯৪৭ সালের ১৭ আগস্ট পার্বত্য চট্টগ্রাম তৎকালীন পাকিস্তানের সাথে সংযুক্ত হয়।

২০১৬ সাল থেকে দিনটিকে ‘কালো দিবস’ হিসেবে পালন করছে ত্রিপুরা চাকমা সংগঠনগুলো। তাদের এই দাবি অযৌক্তিক ও অনভিপ্রেত। ইতিহাসের একটা মিমাংসিত বিষয় নিয়ে কেন এত বছর পর তারা সোচ্চার হচ্ছেন, তা খতিয়ে দেখা দরকার।

সম্পাদকীয়তে বলা হয়, “বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামকে ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে দাবি করেছে ত্রিপুরার চাকমা সম্প্রদায়। ব্রিটিশদের কাছ থেকে ভারতের স্বাধীনতার ৭ দশক পর এ ধরনের দাবি করেছে তারা। পাশাপাশি তারা পার্বত্য চট্টগ্রামে নির্যাতনের (কথিত) বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) কাছে দাবি করেছে।

দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রকাশিত খবর থেকে এই তথ্য জানা গেছে। খবরে বলা হয় এই দাবিতে ত্রিপুরার ১১টি এলাকায় বিক্ষোভ করেছে চাকমা কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া ও ত্রিপুরা চাকমা স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন।”

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন