“নিলুফাকে বাপের বাড়ি থেকে নিয়ে এসে ব্যাপক নির্যাতন করেছে শশুর বাড়ির লোকজন।”

মর্গে স্ত্রী’র লাশ রেখেই পালালো স্বামী

fec-image

কক্সবাজারে বিয়ের এক বছরের মাথায় শশুর বাড়িতে নির্যাতনের শিকার হয়ে নিলুফা ইয়াছমিন (২০) নামে এক গৃহবধুর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ। এই গৃহবধুকে হাসপাতালের মর্গে রেখেই পালিয়েছে স্বামীসহ শশুর বাড়ির লোকজন।

বুধবার(১৯ জুন) দুপুরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে থেকে নিলুফার মৃতদেহ উদ্ধার করে সদর থানা পুলিশ। শহরের সমিতি পাড়স্থ ফদনাডেইল এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

নিলুফা’র ফুফু জোসনা আক্তার জানিয়েছে, নিলুফা কক্সবাজার সদর উপজেলা খুরুশকুল ইউনিয়নের তোতকখালী তাহের আহম্মদ ঘোনা এলাকার জিয়াউর রহমানের মেয়ে। গত এক বছর আগে শহরের ফদনাডেইল এলাকার নুরুল হাকিম নামে এক বোটের মাঝির সাথে নিলুফার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তাদের সংসারে চলে নানান ঝগড়া। যার কারণে নিলুফা বেশ কয়েকবার বাপের বাড়িও চলে গিয়ে দীর্ঘদিন অবস্থান করে। সবর্শেষ গত সোমবার আর কিছু হবে না মর্মে প্রতিশ্রুতি দিয়ে নিলুফাকে বাপের বাড়ি থেকে নিয়ে আসে স্বামী নুরুল হাকিম। বাপের বাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়ার পর আর কোন খবর পাওয়া যায়নি নিলুফার।

ফুফু জোসনা বলেন, বুধবার সকালে নিলুফার স্বামী ফোন করে বলে-নিলুফা অসুস্থ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। এমন খবর শুনে সকাল ১১ টার দিকে হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ঘুরে নিলুফার খোঁজ পাওয়া যায়নি। এমনকি নুরুল হাকিমের নাম্বারও বন্ধ। পরে মর্গে খোঁজ নিয়ে দেখা যায় নিলুফার দেহ সেখানে পড়ে রয়েছে।

তিনি জানান, নিলুফাকে বাপের বাড়ি থেকে নিয়ে এসে ব্যাপক নির্যাতন করেছে শশুর বাড়ির লোকজন। নির্যাতনে তার মৃত্যু হয়েছে। নিলুফাকে মেরে এখন পালিয়েছে স্বামীসহ শশুর বাড়ির লোকজন। পরে বিষয়টি পুলিশকে অবগত করা হয়।

কক্সবাজার সদর থানার এসআই এমরান হোসেন বলেন, খবর পেয়ে হাসপাতালের মর্গে  নিলুফার লাশ শনাক্ত করা হয়েছে। সুরতহাল প্রতিবেদনে তার শরীরে কোন ধরণের আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়নি।

তবে হাসপাতালের সূত্র দিয়ে তিনি বলেন, বিষপানে নিলুফা হাসপাতালে চিকিৎসীধীন ছিল। এবং বুধবার সকালে তার মৃত্যু হয়। তবে ময়না তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে মৃত্যুর আসল কারণ কি। কিন্তু হাসপাতালে তার শশুর বাড়ির লোকজনকে পাওয়া যায়নি। সদর থানার ওসি ফরিদ উদ্দিন খন্দকার বলেন, এবিষয়ে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। ঘটনায় জড়িতের আটকের চেষ্টা করছে পুলিশ।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন