মশক নিধন সময়ে বান্দরবান পৌর এলাকার অলি-গলিতে আবর্জনার স্তুপ

fec-image

দেশের অন্যান্য পৌরসভার ন্যায় বান্দরবানেও ২৩ দিন ধরে দাপ্তরিক ও সেবা কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছে জেলার দুটি পৌরসভার নাগরিকরা। তাদের দাবি- রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে বেতন-ভাতা এবং পেনশন দিতে হবে।

এদিকে কার্যক্রম বন্ধ রেখে ঢাকার আন্দোলনে যোগ দেওয়ায় পৌরসভার সব বিভাগের রুমে তালা ঝুলছে। রাস্তায় পরিচ্ছন্ন কর্মীরা ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার না করায় দুর্বিষহ জীবন যাপন করছে নাগরিকরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, শহরের বিভিন্ন অলি গলি ও রাস্তা জনসাধারণের চলাফেরায় কঠিন হয়ে পড়েছে। বাসার সামনের ডাস্টবিন ও রাস্তা থেকে ময়লা আবর্জনা না সরানোর কারণে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। বাসা থেকে বের হলে নাকে রুমাল দিয়ে বের হতে হচ্ছে। সচেতন নাগরিকরা জানান- পুরো দেশ ডেঙ্গু রোগ আতংকে ভুগছে। তার মাঝে রাস্তা ঘাটের ময়লা আবর্জনা অপসারণ না করায় সেখানে মশার প্রজনন হচ্ছে।

এছাড়াও পৌর কার্যক্রম বন্ধ থাকায় এলাকার মানুষ জন্ম নিবন্ধন, মৃত্যু সনদ, ওয়ারিশান সাটিফিকেট নিতে পারছে না অনেকেই। এতে করে বিপাকে পড়েছে সাধারণ নাগরিকরা।

প্রসঙ্গ, রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শতভাগ বেতন প্রদানসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবিতে বান্দরবান ও লামা পৌরসভার সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ১৪ জুলাই থেকে কেন্দ্রীয় কর্মসুচির অংশ হিসেবে ঢাকা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসুচি পালন করে আসছে।

এই প্রসঙ্গে পৌরসভা সার্ভিস এসোসিয়েশনের বান্দরবান জেলা শাখার সভাপতি মংশৈখ মারমা মুঠো ফোনে বলেন, কেন্দ্রীয় আন্দোলনের অংশ হিসেবে আমরা সবাই ঢাকা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসুচি পালন করছি। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।

তিনি আরো বলেন, পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সব ধরণের নাগরিক সেবা প্রদান করলেও মাস শেষে তারা নিয়মিত বেতন পায়না। চাকুরী শেষে তাদের পেনশনের কোন নিশ্চয়তা নেই। এ অবস্থায় বছরের পর বছর বেতন-ভাতা বকেয়া রয়েছে। নিয়মিত বেতন-ভাতা না পাওয়া অনেক কষ্টে দিনযাপন করছে। পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ভাতা ও পেনশন সুবিধা সরকারি কোষাগার থেকে প্রদানের দাবি আদায় এবং বিষয়টা সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথে থাকবো।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন