মহেশখালীতে এবার লবণের টার্গেট ১৯ লাখ মে. টন
মহেশখালী প্রতিনিধি:
মহেশখালীতে গত বছর ১৮ লাখ মেট্রিক টন লবণ উৎপাদনের টার্গেট থাকলেও চলতি মৌসুমে প্রায় ১৯ লাখ মেট্রিক টন লবণ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে মাঠে নেমেছেন লবণ চাষীরা। হাজার হাজার চাষী লবণ উৎপাদন করে সাংসারিক জীবন পরিচালিত করে থাকে এবং দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে লবণ রপ্তানি করে কৃষকরা।
দেশের অন্যান্য উপকূলীয় এলাকার সমুদ্রের লোনা পানির চেয়ে এ অঞ্চলের লোনা পানির ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি তাই মহেশখালী প্রাকৃতিক উপায়ে লবণ উৎপাদন সহজ এবং দেশের লবণ উৎপাদনের প্রধান উপজেলাও বটে। জেলার সিংহভাগ লবণ উৎপাদিত হয় মহেশখালীতে। আমন মৌসুম শেষে ধান কাটার পর ইতিমধ্যে লবণ উৎপাদনের মাঠ তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।
মহেশখালী লবণ প্রদর্শনি কেন্দ্র অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পৌরসভাসহ ৬ ইউনিয়নে আনুমানিক ৭ হাজার ৫০০ একর জমিতে ১৯ লাখ মেট্রিক টন লবণ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে মাঠে নেমেছেন প্রান্তিক চাষিরা। চলতি মাসের শুরু থেকে লবণ উৎপাদনের লক্ষ্যে মাঠ পরিচর্যা পুরোদমে শুরু করেছেন তারা। ডিসেম্বরের শেষের নাগাদ লবণ উৎপাদন শুরু হবে।
উপজেলার কালারমারছড়া প্রান্তিক লবণ চাষি সাইফুল ইসলাম বলেন, গত ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে লবণের মৌসুমে দাম মানানসই ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চাষীরা আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছিল। আমাদের দেশের চাষিরা মাথার ঘাম পায়ে পেলে উৎপাদন করেন সাদাসোনা খ্যাত লবণ। এবারে মৌসুম অনুকূলে থাকলে চাষীরা অন্যান্য বছরের তুলনায় চলতি মৌসুমে আরো বেশি লবণ উৎপাদনের টার্গেট নিয়ে মাঠে নেমেছেন।
প্রান্তিক লবণচাষীরা জানান, গত দুই মৌসুমে সরকার বিদেশ থেকে লবণ আমদানি না করায় এবং সরকারিভাবে উপকূলীয় এলাকায় লবণচাষীদের বাঁচাতে লবণ নীতিমালাসহ দাম বৃদ্ধি করায় আমরা লবণ উৎপাদনের লক্ষমাত্রার চেয়ে বেশি লবণ উৎপাদন নিয়ে মাঠে নেমেছি। সম্পূর্ণ আধুনিক পদ্ধতিতের (পলিটিনের) মাধ্যমে সাদা সোনাখ্যাত লবণ উৎপাদিত হবে। বর্তমানে মাঠ পর্যায়ে লবণ মনপ্রতি প্রায় ৩৫০ থেকে ৪’শ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। এ দাম স্থীর থাকলে এবং বিদেশ থেকে লবণ আমদানি বন্ধ হলে স্থানীয় লবণ চাষীরা পুরোদমে লবণ উৎপাদনে আরো সক্রিয় হবেন।
মহেশখালীর উত্তরনলবিলা লবণ কেন্দ্র প্রধান মরিুজ্জামান বলেন, চলতি মৌসুম ভাল থাকলে এবং সরকার বিদেশ থেকে লবণ আমদানি না করে থাকে চাষীরা নিঃসন্দেহে লাভবান হবে। আলহাজ্ব আশেক উল্লাহ রফিক এমপি বলেন, বর্তমান সরকার বিদেশ থেকে লবণ আমদানী ও লবণের দাম নির্ধারন করে দেওয়ায় মহেশখালীর লবণ চাষীদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে।