Notice: Trying to get property 'post_excerpt' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 53

Notice: Trying to get property 'guid' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 55

মহেশখালীতে পাহাড় কেটে মাটি বিক্রি

মহেশখালী প্রতিনিধি:
মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নসহ বিভিন্ন এলাকার বনাঞ্চলে পাহাড় কাটছে প্রভাবশালীরা।
উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড আধাঁর ঘোনা (দরগাহ) মিজ্জির পাড়া  সীমান্তে পাহাড় কাটা চলছে। যার কারণে পাহাড় কাটা অপ্রতিরোধ্য হয়ে পড়েছে।
পাড়ার কাটা মাটি ট্রাক বোঝাই করে সংশ্লিষ্টরা বিক্রি করছে। ওইসব এলাকার কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তি সংশ্লিষ্ট বন বিভাগের কর্মীদের নিয়ে এ পাহাড় কাটার মহোৎসব চালিয়ে যাচ্ছে বলে স্থানিয়রা জানিয়েছেন।
স্থানিয়রা বলছেন, ভূমিদস্যুরা বন কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে শুধু বনভূমিই নয় সরকারের সৃজিত বাগান, গাছপালা থেকে শুরু করে মাটি ও বালি লুট করে বিক্রি করে দিচ্ছে প্রতিনিয়ত।
মহেশখালী ফরেস্ট রেঞ্জের আওতাধীন উপজেলার কালারমারছড়া আঁধার ঘোনা গ্রামে বন বিভাগের মালিকাধীন বনাঞ্চলের পাহাড় কেটে বনাঞ্চল নিধন করছে কতিপয় উপজেলার কালারমারছড়া আঁধারঘোনা গ্রামের শামসু আলম নামে এক ব্যক্তি। অনেকে বলছেন বনকর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নজরদারী না থাকায় সবুজ বনভূমি সাবাড় হচ্ছে। তাই দেখবে কে? রুখবে কে? এমন কথা স্থানিয়দের।
পাহাড় কাটার সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা সড়ক সংস্কারের নামে পাহাড় কেটে মাটি বিক্রি ও দালান ঘর নিমার্ণ করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জানান, যারা পাহাড় কাটছে তারা সবাই প্রভাবশালী।
তাই এলাকার সাধারণ মানুষ তাদের অপকর্মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার যেমন সাহস করেননি অনুরূপভাবে নাম প্রকাশেও তাঁরা অপারগতা প্রকাশ করেন। বিশেষ করে যারা পাহাড় কাটছে তাদের সাথে বন বিভাগের কতিপয় অসাধু ব্যক্তি জড়িত রয়েছে। যে কারণে তারা নির্ভয়ে সরকারি আইন আমান্য করে পাহাড় কেটে বনাঞ্চল উজাড় করছে।
অপরদিকে কোন কোন সময় দেখা গেছে পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে পাহাড় কাটার সরঞ্জামাদি জব্দ করলেও তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। যে কারণে উৎসাহিত হয়ে পাহাড় কাটার সাহস পাচ্ছেন বন তারা।
কালারমারছড়া বনবিট স্টাফ সরওয়ার এ বিষয়ে অবগত নই বলে জানান। তবে পাহাড় কাটার বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে বলে জানান।
শাপলাপুর দিনেশপুর ও কালারমারছড়া দায়িত্ব থাকা বনবিট অফিসার আব্দু জব্বার বলেন, এ পাহাড়কাটার ব্যাপারে আমার জানা নেই, তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেব। বনবিভাগের কর্মকর্তারা মাসোহারা নিয়ে পাহাড় কাটছে প্রভাবশালী এক প্রশ্নে জবাবে তিনি বলেন মাসোহারা নেওয়ার প্রশ্ন উঠেনা।
মহেশখালী উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মো: আবুল কালাম বলেন, এ ব্যাপারে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কারণ পাহাড় কাটা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর ।
Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন