“দেশে উৎপাদন বেশি হওয়ার পরও চাল আমদানি অব্যাহত থাকায় কৃষকদের মধ্যে হতাশা ”
মহেশখালীর

প্রান্তিক চাষিদের কাছ থেকে ধান ক্রয় করছে উপজেলা প্রশাসন

এক চাষির কাছ থেকে ধান ক্রয় করছে উপজেলা প্রশাসন

 

কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার প্রান্তিক কৃষকের ন্যায্য মুল্য প্রাপ্তির জন্য কৃষকের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ধান সংগ্রহ করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: জামিরুল ইসলাম।

শুক্রবার সকালে উপজেলার বড় মহেশখালীর ফকিরাঘোনা বিভিন্ন গ্রামের ধান ক্রয় করেন উপজেলা প্রশাসন। এসময় সাথে ছিলেন উপজেলার খাদ্য নিয়ন্ত্রক তপন কুমার বড়ুয়া ।

জানা গেছে, ২৬টাকা কেজি করে একজন কৃষক ৩ টন ধান বিক্রয় করতে পারবেন।
সরকারি নির্দেশ মোতাবেক প্রান্তিক কৃষকদের কাছ থেকে ধান ক্রয় অব্যাহত থাকবে বলে জানান উপজেলার খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা তপন কুমার বড়ুয়া। এসময় সাংবাদিক হারুনর রশিদ সহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

প্রশাসনের উদ্যোগে সরাসরি প্রান্তিক কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনা শুরু এবং চাল আমদানিতে শুল্ক দ্বিগুণের ঘোষণায় কৃষকদের মধ্যে দৃশ্যত স্বস্তি ফিরেছে। আগামীতে সরকার যেন ধান-চাল সংগ্রহের পরিমাণ বাড়িয়ে তিনগুণ করে সে দাবিও জানিয়েছেন কৃষকরা।

উপজেলায় গত তিন দিন ধরে কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনার উদ্যোগ নেওয়ায় পরিস্থিতি পাল্টে গেছে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের চাষিদের।

মহেশখালী উপজেলার বড় মহেশখালীর কার্ডধারী কৃষক নুরুল কাদের বলেন , ‘ইউএনও স্যার যখন ধান কিনতে আসলেন তখনই আমরা খুশি হয়েছি। জানি যে খাদ্যের লোকরা এবার নামবে।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছ থেকে সরাসরি ধান কিনলে আমরা দুইটা দাম পাই। আর মিলাররাও আমাদের ঠকাতে পারবে না।  আমাদের ধান যদি ভালো বিক্রি হয় আমরা খুশি। আমরা তো ব্যবসা করি না।’

এদিকে দেশে উৎপাদন বেশি হওয়ার পরও চাল আমদানি অব্যাহত থাকায় কৃষকদের মধ্যে হতাশা ছিল, উৎপাদন বেশি করেও তারা ধান-চাল বিক্রি করতে পারবে না। কারণ আমদানি শুল্ক কম হলে ব্যবসায়ীরা দেশের কৃষকদের কাছ থেকে বেশি দামে না কিনে বাইরে থেকে চাল আনবে আর কৃষক না খেয়ে মারা যাবে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: উপজেলা, চাষি, প্রশাসন
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন