মহেশখালী উপজেলা আ’লীগের সভাপতির বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ

fec-image

মহেশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার পাশা চৌধুরীর বিরুদ্ধে ক্ষমতা অপব্যবহার করে জমি দখলের অভিযোগ করেছেন নিজের দলের আরেক নেতা।

অভিযোগ তোলা হয় বিচারের নামে অবিচার, নিজস্ব টর্চার সেলে নিয়ে নির্যাতন, সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে মারধর, মিথ্যা মামলা, প্রাণ নাশের হুমকি ও লবণ লুটের।

বৃহস্পতিবার (২০ জুন) বিকালে কক্সবাজার শহরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন বড় মহেশখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. ফরিদুল আলম। অভিযুক্ত আনোয়ার পাশা চৌধুরী সম্পর্কে তার চাচা ও চাচা শশুর।

তিনি বলেন, আনোয়ার পাশা চৌধুরী নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে আমাদের পরিবারের বিরুদ্ধে ১ মাসে তিনটি মামলা করেছেন। যেসব মামলার কোন ভিত্তি নাই। আত্মরক্ষার্থে আমরা থানায় জিডি করায় ক্ষিপ্ত হয়ে উল্টো আমার ব্যবসায়িক পার্টনার জিয়াউর রহমানের উপর হামলা করে। এ বিষয়ে আমরা থানায় মামলা করতে গেলে মামলা নেয়নি। অথচ এই ঘটনায় আমিসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছে আনোয়ার পাশা চৌধুরী।

১৬ ফেব্রুয়ারি কুতুবজোম মৌজার প্রায় ৭০ কানি আয়তনের লবণ উৎপাদনের ক্ষেত্রে দিন দুপুরে সশস্ত্র হামলা চালায়। প্রায় ২০ জন শ্রমিক আহত হয়। লুটপাট করে মাঠে রক্ষিত ২০০০ মণ লবণ। পানিতে ডুবিয়ে দেয় লবণের মাঠ। ২৪ মে আরেক দফা সশস্ত্র হামলা চালানো হয় এতে আমাদের অন্তত ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার পাশা চৌধুরীর ক্ষমতার দাপটের কাছে পুরো এলাকাবাসী জিম্মি। কেউ প্রতিবাদ করলে মিথ্যা মামলায় আসামি বানিয়ে তাকে পুলিশে সোপর্দ করে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন -ফরিদুল আলমের স্ত্রী ও আনোয়ার পাশা চৌধুরীর ভাতিজি জাহানারা বেগম, ফরিদের শ্যালিকা জয়নবা বেগম, শাহেনা আক্তার, জাহিদুল মোস্তফা জারিয়া, ভাতিজা ও ঘটনার ভিকটিম আজিজুল হক, ছেলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র লীগের যুগ্ম সম্পাদক হোসনে মোবারক রিসাদ।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: অভিযোগ, জমি দখলের, মহেশখালী
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন