মাটিরাঙ্গার নতুন জনপদ ‘বাংলা টিলা’

52455 copy

নিজস্ব প্রতিবেদক, মাটিরাঙ্গা:

স্বাধীনতার ৪৬ বছর পরে দীর্ঘ দিনের নাম বদলের মাধ্যমে মাটিরাঙ্গার নতুন জনপদ ‘বাংলা টিলা’। ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসে পাঞ্জাবী টিলার নাম বদলের মাধ্যমে ‘বাংলা টিলা’ করা হয়। বাংলা টিলা নামকরণের মধ্য দিয়ে বদলে যাচ্ছে মাটিরাঙ্গার বেলছড়ি ইউনিয়নের পাঞ্জাবী টিলার নাম। নতুন নামকরণ হচ্ছে ‘বাংলা টিলা’। একই সাথে পাঞ্জাবী টিলা নাম মুছে ‘বাংলাটিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’ নামে নতুন রূপে যাত্রা শুরু করেছে ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের একমাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

ঐতিহাসিক মুজিব নগর দিবসে বেলা ১২টার দিকে নতুন প্রজন্মের দুই শিশু শিক্ষার্থী ও মাটিরাঙ্গা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কামান্ডার মো. মনছুর আলীকে সাথে নিয়ে বাংলা টিলা’র নাম ফলক উন্মোচন করেন মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিএম মশিউর রহমান।

পরে বেলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বি. এম মশিউর রহমান। মাটিরাঙ্গা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কামান্ডার মো. মনছুর আলী, মাটিরাঙ্গা উপজেলা ভারপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার কৃষ্ণলাল দেবনাথ, মাটিরাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সুবাস চাকমা, বেলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. রহমত উল্যাহ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নুরুল ইসলাম, সাবেক মেম্বার মো. আলী হোসেন প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিএম মশিউর রহমান বলেন, ঐতিহাসিক মুজিব নগর দিবসে পাঞ্জাবী টিলার নাম বদলে ‘বাংলা টিলা’ নাম ফলক উন্মোচন এ জনপদের মানুষের জন্য অনেক বড় পাওয়া। তিনি বাংলা টিলা হৃদয়ে ধারণের আহ্বান জানিয়ে বলেন, তবেই আজকের নামকরণে স্বার্থকতা আসবে। এ প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, কেন দীর্ঘ দিনের পাঞ্জাবী টিলা আজ বাংলা টিলা হলো তাও বলতে হবে।

পাঞ্জাবী টিলার নাম পরিবর্তনের উদ্যোগ নেয়ায় মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে ধন্যবাদ জানিয়ে মাটিরাঙ্গা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কামান্ডার মো. মনছুর আলী বলেন, একসময় পাক বাহিনীর ঘাঁটি পাঞ্জাবী টিলা আজ থেকে বাংলাটিলা নামে নতুন করে যাত্রা শুরু করেছে। বেলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. রহমত উল্যাহ বলেন, স্বাধীনতার দীর্ঘ দিন পরে হলেও এখানকার মানুষ স্বাধীনতা বিরোধীদের চিহ্ন মুছে দিতে পেরেছে। এজন্য তিনি মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, জন্মসনদ থেকে শুরু করে সকল কাগজপত্র থেকে স্বাধীনতা বিরোধীদের নাম মুছে দিতে হবে।

অনুষ্ঠানে স্থানীয় জনগণ ছাড়াও গোমতি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ফারুক হোসেন লিটন, স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা, বেলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত মেম্বার, শিক্ষক-সাংবাদিকসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন