মাটিরাঙ্গায় শান্তিচুক্তি দিবস পালিত

নিজস্ব প্রতিবেদক, মাটিরাঙ্গা:

বর্নাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় পার্বত্য শান্তি চুক্তির ২১ বছর পূর্তি উদযাপিত হয়েছে। মাটিরাঙ্গা জোন ও মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদ এ কর্মসুচীর আয়োজন করে। রোববার (২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে মাটিরাঙ্গা সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ থেকে বর্ণাঢ্য  র‌্যালিটি শুরু হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে মাটিরাঙ্গা মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে গিয়ে শেষ হয়। এর আগে শান্তির প্রতীক পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে র‌্যালির উদ্বোধন করেন মাটিরাঙ্গা জোন অধিনায়ক লে. কর্ণেল নওরজ নিকোশিয়ার।

র‌্যালি শেষে মাটিরাঙ্গা মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় মাটিরাঙ্গা জোন অধিনায়ক লে. কর্ণেল নওরজ নিকোশিয়ার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিভীষণ কান্তি দাশ, মাটিরাঙ্গা পৌরসভার মেয়র মো. শামসুল হক ও সহকারী পুলিশ সুপার মো. খোরশেদ আলম প্রমূখ বক্তব্য রাখেন। সেনাবাহিনীসহ অা্ইনশৃঙ্খলা বাহিনীর রক্তের বিনিময়ে পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা হয়েছে মন্তব্য করে মাটিরাঙ্গা জোন অধিনায়ক লে. কর্ণেল নওরজ নিকোশিয়ার বলেন, চুক্তির ২১ বছর পরেও একটি বিশেষ মহল পাহাড়কে অশান্ত করার ষড়যন্ত্র করছে। সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। তাদের সব ষড়যন্ত্র শক্ত হাতে মোকাবেলা করা হবে বলেও জানান তিনি।

পার্বত্য শান্তিচুক্তিকে ঐতিহাসিক অর্জন উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, শান্তি চুক্তির ফলে পাহাড়ে সম্প্রীতির বন্ধন সৃস্টি হয়েছে। মানুষে মানুষে ভাতৃত্বভোধ সৃস্টি হয়েছে। পাহাড়ের মানুষ শান্তিতে বসবাস করছে। উন্নয়নের গতিধারা সূচিত হয়েছে। আলোচনা সভা শেষে পার্বত্য শান্তি চুক্তির ২১ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভায় মাটিরাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ মো. জাকির হোসেন, মাটিরাঙ্গা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক সুবাস চাকমা, মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান হাসিনা বেগম, মাটিরাঙ্গা সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হিরন জয় ত্রিপুরা, মাটিরাঙ্গা পৌরসভার প্যানেল মেয়র মো. আলাউদ্দিন লিটন, মাটিরাঙ্গা প্রেস ক্লাবের সভাপতি এম এম জাহাঙ্গীর আলমসহ নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও হেডম্যান-কার্বারীসহ শান্তিকামী জনতা উপস্থিত ছিলেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন