মানিকছড়িতে বঙ্গবন্ধু ফুটবল টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন ‘ময়ূরখীল সেতুবন্ধন ক্লাব’
মানিকছড়ি প্রতিনিধি:
মানিকছড়ি উপজেলায় অনুষ্ঠিত‘বঙ্গবন্ধু ফুটবল টুর্নামেন্টের ৩য় আসর এর ফাইনাল খেলায় উপজেলা ময়ূরখীল সেতুবন্ধন ক্লাব ১-০ গোলে একতা যুব সংঘ, মানিকছড়িকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে।
২৮ সেপ্টেম্বর বিকাল সাড়ে ৩টায় অনুষ্ঠিত খেলায় প্রধান অতিথি ছিলেন, ২৯৮ নং খাগড়াছড়ির সাংসদ সদস্য ও ভারত প্রত্যাগত শরনার্থী বিষয়ক ট্রাক্সফোর্স চেয়ারম্যান(প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদা) কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা।
বঙ্গবন্ধু ফুটবল টুর্নামেন্ট কমিটি সূত্রে জানা গেছে, গত ২০১৬ সাল থেকে ১ নং মানিকছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. শফিকুর রহমান ফারুক‘বঙ্গবন্ধু’ ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজক। এবার টুর্নামেন্টের ৩য় আসরে উপজেলার ৩৩টি দল নক আউট পদ্ধতির এ খেলায় অংশ গ্রহণ করেন।
প্রায় দেড় মাসব্যাপী মানিকছড়ি মাঠে অনুষ্ঠিত এ টুর্নামেন্টের সমাপনী পর্বে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন উপজেলার ঐতিহ্যবাহী দু’টি ক্রীড়া ও সামাজিক সংগঠন‘একতা যুব সংঘ বনাম ময়ূরখীল সতুবন্ধন ক্লাব’। খেলার প্রথমার্ধে কোন পক্ষ কারো জালে বল প্রবেশ করাতে ব্যর্থ হলেও দ্বিতীয়ার্ধের ২ মিনিট পর সেতুবন্ধন একতার ডিফেন্স ভেঙ্গে গোল করতে সক্ষম হয়। এতে সেতুবন্ধন ক্লাব ১-০ গোলে এগিয়ে যায়। এর পর দু’দল মরিয়া হয়ে উঠে গোল পরিশোধ এবং গোল ব্যবধান বাড়াতে। কিন্তু সে সুযোগ আর কারো হয়ে উঠেনি। ফলে ১-০ গোলে খেলার পরিসমাপ্তি ঘটে।
প্রধান অতিথি বিজিত ‘একতা যুব সংঘ ও বিজয়ী দল ময়ূরখীল সেতুবন্ধন ক্লাবের খেলোয়াড়দের হাতে চ্যাম্পিয়ান ও রানার্স আপ ট্রপি তুলে দেন। টুর্নামেন্টে সেরা খেলোয়াড় ও সেরা গোল কিপার নির্বাচিত হন একতা যুব সংঘের রুবেল ও ইমন এবং সেরা গোলদাতা নির্বাচিত হয়েছেন ময়ূরখীল সেতুবন্ধন ক্লাবের উপ্রুমং মারমা।
এ সময় প্রধান অতিথি বলেন, খেলাধূলা মানুষের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করে। জীবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি সময়ে তরুণ যুবকরা খেলাধূলায় জড়িত থাকার কারণে সুনাগরিক হতে শিখে। মাদক ও অপরাধ মুক্ত সমাজ গঠনে খেলাধূলার ভূমিকা অপরিহার্য। বর্তমান সরকার তৃণমূলে খেলাধূলা সম্প্রসারিত করায় আজ আমরা বিশ্বে ক্রিকেট ও ফুটবলে প্রশংসিত হচ্ছি। এ ধারা অব্যাহত রাখতে জনপ্রতিনিধি ও সমাজের বিত্তবানরা এগিয়ে আসতে হবে।
পরে মানিকছড়ি উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার তামান্না মাহমুদ বিজয়ী ও বিজিত দলকে বিশেষ পুরস্কার হিসেবে পাঁচ হাজার টাকা করে দু’দলকে দশ হাজার টাকা অর্থ সহায়তা করেন। অন্যদিকে সিন্দুকছড়ি জোন অধিনায়ক লে.কর্ণেল রুবায়েত মাহমুদ হাসিব পিএসসি, টুর্নামেন্ট কমিটিকে অর্থসহায়তা করেন।