Notice: Trying to get property 'post_excerpt' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 53

Notice: Trying to get property 'guid' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 55

মিয়ানমারে রোহিঙ্গা সংকটকে ‘জাতিগত নিধন’ ঘোষণার কথা ভাবছে যুক্তরাষ্ট্র

পার্বত্যনিউজ ডেস্ক

মিয়ানমারের রাখাইনে ‘জাতিগত নিধন চলছে’ বলে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন কর্মকর্তারা পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসনের জন্য এ ধরনের সুপারিশ তৈরি করছেন। এ ধরনের ঘোষণা দেয়া হলে মিয়ানমারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য ট্রাম্প প্রশাসন ও মার্কিন আইন প্রণেতাদের ওপর চাপ আরও বাড়বে।

চলতি সপ্তাহে টিলারসনের কাছে এ সংক্রান্ত সুপারিশ উপস্থাপন করা হতে পারে বলে এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ ও আইনজ্ঞদের তৈরি এ সুপারিশ তিনি গ্রহণ করবেন কিনা সেই সিদ্ধান্ত নেবেন টিলারসন। জাতিগত নিধন চলছে ঘোষণা করা হলে মিয়ানমারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক পাল্টে যাবে। এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

মিয়ানমারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ওপর ক্রমবর্ধমান চাপের মধ্যে এ সুপারিশ তৈরি হচ্ছে। গত সপ্তাহে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন বলেছিলেন, রোহিঙ্গাদের দুর্দশার জন্য মিয়ামারের সেনাবাহিনীকে দায়ী মনে করে যুক্তরাষ্ট্র।

গত আগস্ট মাসে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মিয়ানমার সেনাবাহিনী বর্বর অভিযান শুরু করলে হাজার হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়া এখনো অব্যাহত আছে।

জাতিসংঘের হিসাবমতে, এ পর্যন্ত ৫ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সহিংসতা বন্ধে মিয়ানমারের প্রতি বিশ্বসম্প্রদায় আহ্বান জানালেও তাতে কান দেয়নি তারা। রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ভয়াবহ এই নির্যাতনকে ‘জাতিগত নিধন’ বলে চিহ্নিত করেছে জাতিসংঘ।

অন্যদিকে রোহিঙ্গাদের ওপর নিধনযজ্ঞকে ‘মানবতাবিরোধী অপরাধ’ বলে ঘোষণা করা হবে কিনা তা এখনও নির্ধারণ করেননি মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। এটা করা হলে মিয়ানমারের ওপর আরও কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে যুক্তরাষ্ট্রকে। এতে মিয়ানমারের অপরাধীদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে উদ্যোগ নিতে হবে।

যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘের কর্মকর্তারা, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো এবং ফরাসি প্রেসিডেন্ট ও কানাডার প্রধানমন্ত্রীসহ অনেকেই জাতিগত নিধন শব্দটি ব্যবহার করেছেন। তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোগানসহ মুসলিম বিশ্বের বহু নেতাও এই শব্দগুচ্ছ ব্যবহার করেছেন।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের ওয়াশিংটন শাখার পরিচালক সারাহ মার্গন বলেন, আগেই যুক্তরাষ্ট্রের জাতিগত নিধন শব্দটি ব্যবহার করা উচিত ছিল। বিলম্বে হলেও এ ঘোষণাটা হবে প্রথম পদক্ষেপ।

রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে টিলারসনের কাছে লেখা এক চিঠিতে ৪৪ মার্কিন সিনেটর জাতিগত নিধন শব্দটি ব্যবহার করেছেন। মার্কিন সিনেটে মঙ্গলবার রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আলোচনা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্যাট্রিক মরফি শুনানিতে অংশ নেন। এর আগেও তিনি শুনানিতে অংশ নিয়েছেন। তখন ‘জাতিগত নিধন’ কথাটি ব্যবহার না করায় সিনেটরদের তোপের মুখে পড়েন মরফি।

গণহত্যা প্রতিরোধ বিষয়ক জাতিসংঘ কার্যালয় জানায়, আন্তর্জাতিক আইনে জাতিগত নিধন বলে আলাদা কোনো অপরাধ চিহ্নিত করা নেই। তবে মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যা আছে। মার্কিন সিনেটের ফরেন রিলেশন্স কমিটির শীর্ষস্থানীয় ডেমোক্রেট নেতা বেন কার্ডিন বলেন, রোহিঙ্গারা শুধু জাতিগত নিধনের শিকারই নয়, তাদের ওপর ‘গণহত্যা’ চলছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় দু’বছর আগেই ঘোষণা দিয়েছে যে রাখাইনে গণহত্যার শক্তিশালী প্রমাণ মিলেছে।

 

সূত্র: south asian monitor

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন