মিয়ানমার সীমান্তে তুমব্রু খালের সেতু সংস্কার নিয়ে উত্তেজনা

বিশেষ প্রতিনিধি, কক্সবাজার:

মিয়ানমার সীমান্তের তুমব্রু খালে সেতু সংস্কার করা নিয়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে বলে জানাগেছে। এতে নো ম্যান্স ল্যান্ডে অবস্থানকারী রোহিঙ্গাদের মাঝে আতঙ্কের কথাও জানাগেছে। এরই প্রেক্ষিতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) কর্মকর্তারা এলাকাটি পরিদর্শন করেছেন।

সোমবার(১৪ জানুয়ারি) সকালে কক্সবাজার সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার কর্নেল এস এম বায়েজিদ খান তুমব্রু সীমান্ত পরিদর্শন করেন বলে জানাগেছে।

তুমব্রু বাজারের কাছে নো-ম্যান্স ল্যান্ডের তুমব্রু খালের ওপর পাকা স্থাপনা নির্মাণ করা নিয়ে গত কয়েক দিন থেকে সেখানে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছিল। স্থাপনাটি সেতু নাকি বাঁধ এটি নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ছিল অস্পষ্টতা। এছাড়াও আতঙ্ক দেখা দেয় নো-ম্যান্স ল্যান্ডে বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের মধ্যে। এর প্রেক্ষিতে সোমবার বিজিবির কর্মকর্তারা এলাকাটি পরিদর্শন করেন।

বিজিবির কক্সবাজার সেক্টরের কমান্ডার কর্নেল এস এম বায়েজিদ খান জানান, তুমব্রু খালের ওপর মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ কাঁটাতারের বেড়া সংস্কার করছে। খালের ওপর আগে কাঠের খুঁটি ছিল, সেটি পানিতে নষ্ট হয়ে যাওয়ায় সেখানে আরসিসি পাকা পিলার দেয়া হচ্ছে। এটি কোনো সেতু বা বাঁধ নির্মাণ নয়।

তবে নো-ম্যান্স ল্যান্ডে কেন তারা এটি নির্মাণ করছে তা জানতে চেয়ে সোমবার মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপিকে চিঠি দিয়েছে বিজিবি। সোমবার দুপুরের দিকে এ চিঠি দেওয়া হয়। তাদের কাছ থেকে চিঠির জবাব আসলেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে বিজিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

বায়েজিদ খান জানান, বর্তমানে সীমান্তের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

তুমব্রু এলাকার ইউপি সদস্য আবদুর রহিম ও বাজার এলাকার স্থানীয়রা জানান, গত কয়েকদিন থেকেই খালের পাশে তারা (বিজিপি) পাকা স্থাপনা ও পিলার তৈরি করছে। এটির কারণে বর্ষা মৌসুমে পানিতে তুমব্রু বাজার ও কোনা পাড়া তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে এটি সেতু নাকি বাঁধ তা সঠিক করে বলা যাচ্ছে না।

স্থানীয়রা জানান,  এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সীমান্তে বিজিবি নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। নো-ম্যান্স ল্যান্ডের রোহিঙ্গারা জানান, তুমব্রু সীমান্তে মিয়ানমার আবারো সেনা টহল বাড়িয়েছে।

এদিকে, গত মাস থেকে বান্দরবান সীমান্তসংলগ্ন মিয়ানমারের আরাকান ও চিন রাজ্যে সেখানকার বিচ্ছিন্নতাবাদী গ্রুপ আরাকান আর্মির সাথে দেশটির সেনাবাহিনীর ব্যাপক সংঘর্ষ চলছে। গোলযোগের কারণে রাখাইন রাজ্যের বুথিডং, রাথিডং ও মংডুসহ বেশ কয়েকটি এলাকা থেকে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী রাখাইন ও রোহিঙ্গারা আতঙ্কে নিরাপদ জায়গায় সরে যাচ্ছে। সেখানে গত কয়েকদিন থেকে আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর সাঁড়াশি অভিযান চলছে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: কক্সবাজার, মিয়ানমার, রোহিঙ্গা ক্যাম্প
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন