মেধাবী ছাত্র মহিউদ্দিনের করুণ কাহিনী
রাজস্থলী প্রতিনিধি:
মো. মহিউদ্দিন,(৩৮), পিতা-মৃত মনির আহম্মদ, গ্রাম- আমছড়া পাড়া, থানা-রাজস্থলী, জেলা-রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা।
মহিউদ্দিন ১৯৯২ সালে রাজস্থলী তাইতং পাড়া সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২য় বিভাগে এসএসসি পাশ করে।অত্যন্ত মেধাবী ছিল সে। ৩ ভাইয়ের মধ্যে সে কনিষ্ঠ। মা মারা যাওয়ার পর তার পিতা আর একটি বিবাহ করলে তাদের পরিবারে নেমে আসে অন্ধকার। সুস্বাস্থের অধিকারী ও কঠোর পরিশ্রমী ছিল মহিউদ্দিন। তার স্বভাব চরিত্র ছিল কোমলমতি শিশুদের মত।
এসএসসি পাশের পর যখন ইন্টারমিডিয়েটে ভর্তি হয়, তখন থেকে মহিদ্দিনের পরিবারে শুরু হয় বিপর্যয় শুরু হয়। এ থেকে মহিউদ্দিন মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে। তার ২টি চোখ ছিল সচল। গত কয়েকদিন আগে কে বা কারা অন্ধকার রাত্রে মুখোমন্ডলে ঘুষি মারলে তার বাম চোখ নষ্ট হয়ে যায়। চিকিৎসার অভাবে এ মেধাবী মহিউদ্দিন আজ রাস্তাঘাট, বাসস্ট্যান্ড ও চায়ের দোকানের আশে পাশে ঘোরাঘুরি করে। ওঝা, বৈদ্য দিয়ে চিকিৎসা করার পর সফল না হওয়াতে সে আজ মানসিক প্রতিবন্ধী হয়ে মানুষের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
একজন মেধাবী ছাত্রের এ করুণ কাহিনী দেখে এলাকার সকল সম্প্রদায়ের লোক অবাক হয়ে চেয়ে থাকে মহিউদ্দিনের প্রতি। আজ তার সহপাঠিদের কেউ ডাক্তার, কেউ সাংবাদিক আবার কেউ বিদ্যালয়ের শিক্ষক। মহিউদ্দিনও হতো পারতো তাদের মতো একজন।ডাক্তার বলেছে, ভাল চিকিৎসা পেলে সুস্থ হয়ে উঠবে সে। কিন্তু আর্থিক সামর্থ না থাকায় সুচিকিৎসার অভাবে একটি প্রতিভাবান যুবক সবার চোখের সামনে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।
স্থানীয়দের বিশ্বাস মহিউদ্দীনের মতো সম্ভাবনাময় যুবকের সুস্থ হয়ে ওঠার জন্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসা অথবা সার্বিক সহযোগিতা দেওয়ার জন্য তার পাশে কেউ না কেউ এসে দাড়াবেন। উন্নত চিকিৎসা করে সুন্দর মনোবল নিয়ে সে ১০ জনের মত ১জন সুস্থ মানুষ হয়ে বাঁচতে চায়। তার এ করুণ কাহিনী বিত্তবানদের নজরে পড়লে এগিয়ে আসার কামনা করেছেন এ দুর্গম ও দরিদ্র পীড়িত পার্বত্য এলাকার সাধারণ জনগণ। আছেন কী এমন কেউ?