যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে রোহিঙ্গা এক্টিভিস্টরা

fec-image

মিয়ানমারের সেনাপ্রধানসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের যুক্তরাষ্ট্র নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন সাবেক কারারুদ্ধ এক রোহিঙ্গা অধিকারকর্মী। তবে একে প্রথম ধাপ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে নিপীড়িত এই জনগোষ্ঠীর সহায়তায় আরও পদক্ষেপ নিতে হবে।

২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর পূর্ব-পরিকল্পিত ও কাঠামোবদ্ধ সহিংসতা জোরালোর প্রায় দুই বছর পর মঙ্গলবার দেশটির সেনাবহিনীর শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর আবাসস্থল রাখাইনে ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেয় ওয়াশিংটন। পররাষ্ট্র দফতর থেকে জানানো হয়, সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাংসহ আরও তিনজন সেনা ও তাদের পরিবারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠকে অংশ নিয়ে এক্টিভিস্ট ওয়াই ওয়াই নু বলেন, দশক ধরে চলে আসা ‘অমরত্ব’ থেকে মিয়ানমারের সেনবাহিনীর ওপর এই পদক্ষেপ জরুরি ছিলো। তিনি বলেন, ‘আমাদের অনেকেই এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। তবে আমরা একে প্রথম ধাপ বিবেচনা করছি এবং আরও কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার আশার করছি।’ সেনা কর্মকর্তাদের ‘ধরা ছোঁয়ার’ বাইরে থাকার এই পরিস্থিতির অবসান প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন তিনি।

বুধবার তিনি হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গেও দেখা করেন।

২০০৫ সাল থেকে পরিবারসহ মিয়ানমারে বন্দি ছিলেন ওয়াই ওয়াই। ২০১২ সালে মুক্তি পান তারা। মুক্তি পেয়ে নিপীড়ন থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের নিয়ে নারী অধিকার ও সাম্প্রদায়িক সম্পীতি রক্ষায় দুটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেছেন।

২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রাখাইনের কয়েকটি নিরাপত্তা চৌকিতে হামলার পর পূর্ব-পরিকল্পিত ও কাঠামোবদ্ধ সহিংসতা জোরালো করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। সন্ত্রাসবিরোধী শুদ্ধি অভিযানের নামে শুরু হয় নিধনযজ্ঞ। হত্যা-ধর্ষণসহ বিভিন্ন ধারার মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হতে থাকে ধারাবাহিকভাবে। জাতিগত নিধনযজ্ঞের ভয়াবহতায় জীবন ও সম্ভ্রম বাঁচাতে রাখাইন ছেড়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয় প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা। আগে থেকে উপস্থিত রোহিঙ্গাদের নিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের সংখ্যা দাঁড়ায় প্রায় ১০ লাখে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: মিয়ানমার, যুক্তরাষ্ট্র, রাখাইন
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন