রাঙামাটিতে নিহত সেনা সদস্যের বাড়ি মুক্তাগাছায় শোকের মাতম
রাঙামাটিতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত সেনা সদস্য মো. নাসিমের (১৯) বাড়ি ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় এখন চলছে শোকের মাতম। মুক্তাগাছার তারাটি পূর্বপাড়ার বাসিন্দা কৃষক বিল্লাল হোসেনের ছেলে মো. নাসিম।
সোমবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে মুক্তাগাছায় তাঁর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে মরদেহ পৌঁছালে এক হৃদয়বিদারক পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
রবিবার তাঁর মৃত্যু সংবাদ পৌঁছানোর পর থেকেই মুক্তাগাছায় শোকের পরিবেশ বিরাজ করছে। তার পরিবারে চলছে শোকের মাতম। তাঁর বাবা কৃষক বিল্লাল হোসেন, মা ও বড়ভাই নইম আহমেদ বারবার মুর্ছা যাচ্ছেন।
এর আগে সোববার বিকাল পৌনে ৩টার দিকে সেনা সদস্য নাসিম আহামেদের লাশ সেনাবাহিনীর গাড়িতে করে তার গ্রামের বাড়িতে পৌঁছায়। তার মৃত্যুতে গ্রামের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। বার বার মূর্ছা যাচ্ছে বাবা বিল্লাল হোসেন, মা, বড় ভাই নইম আহমেদসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা।
নাসিমের এক বন্ধু জানান, নাসিম দুই একদিনে মধ্যেই ছুটিতে বাড়ি আসার কথা ছিল। মোবাইল ফোনে গত শনিবার বিকালে কথা হয় বাবা-মায়ের সঙ্গে। অতি আদরের ছেলের জন্য মা নাজমা বেগম কুরবানির মাংস রেখে দেন বলেও জানান নাসিমের বন্ধু।
মুক্তাগাছার তারাটী পূর্বপাড়া গ্রামের কৃষক বিল্লাল হোসেনের এক মেয়ে দুই ছেলের মধ্যে সবার ছোট নাসিম আহমেদ। ২০১৬ সালে মুক্তাগাছা রামকিশোর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন। পরে ২০১৮ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে সৈনিক পদে যোগদান করেন তিনি।
উল্লেখ্য, রবিবার (১৮ আগস্ট) রাঙামাটি রিজিয়নের রাজস্থলী আর্মি ক্যাম্প হতে চার কিঃ মিঃ দক্ষিণে পোয়াইতুমুখ নামক এলাকায় আনুমানিক সকাল ১০টার দিকে সেনাবাহিনীর একটি নিয়মিত টহল দলের উপর সন্ত্রাসীরা অতর্কিতভাবে গুলিবর্ষণ শুরু করে। এতে সৈনিক নাসিম (১৯ গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়। আহত নাসিমকে তৎক্ষণাৎ হেলিকপ্টারযোগে চট্টগ্রাম সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।