রাঙামাটিতে বেপরোয়া গতির পুলিশ ভ্যানের ধাক্কায় মোটরসাইকেল চালক গুরুতর আহত

Rangamati Police Accident-01

আলমগীর মানিক,রাঙামাটি:
রাঙামাটি শহরে বেপরোয়া গতির পুলিশ বহনকারি ভ্যান গাড়ির সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে সাদ্দাম হোসেন (২১) নামের এক যুবক। শুক্রবার দিবাগত রাত নয়টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় মাথায় ও পায়ে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত এই যুবককে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেছে রাঙামাটি সদর হাসপাতাল কতৃপক্ষ। আহত যুবক সাদ্দাম হোসেন শহরের কাঠাঁলতলী এলাকার সিরাজুল ইসলামের বড় সন্তান। সে রাঙামাটি সরকারি কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র বলে জানাগেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চায়না জিংফু কোম্পানীর একটি মোটর সাইকেল (নাম্বার-দিনাজপুর-হ- ১১০০২৯) চালিয়ে বনরূপা বাজার থেকে নিজ বাসায় আসতেছিলো। শহরের বনরূপাস্থ এসএ পরিবহনের সম্মুখে বিপরীত দিক থেকে বেপরোয়া গতিতে আসা পুলিশ বহনকারি সাদা রংয়ের পুলিশভ্যান গাড়িটি (যাহার নাম্বার প্লেটে লিখা রয়েছে, রাঙামাটি জেলা পুলিশ-০৩) সজোরে আঘাত করলে মোটর সাইকেলের নিছে চাপা পড়ে গুরুতর আহত হয় মোটর সাইকেল চালক সাদ্দাম হোসেন। মাথা ও পায়ে প্রচন্ড আঘাত লেগে এসময় তার শরীর থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে রাঙামাটি সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। এই ঘটনায় পুলিশের গাড়িটি নিয়ে চালক দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে সটকে পড়ে।

খোজঁ নিয়ে জানা গেছে, গাড়িটি চালাচ্ছিলেন জেলা পুলিশে কর্মরত পুলিশ কনষ্টেবল মিন্টু কুমার নাথ, যাহার নাম্বার- ৭০৯।

রাঙামাটি সদর হাসপাতালে পুলিশের একজন এএসআই জানান, ভাই কার দোষ সেটা দেখার বিষয় এখন নয়, আমরা আগে ছেলেটিকে বাচাঁনোর চেষ্ঠা করছি। আর এব্যাপারে পুলিশের পক্ষ থেকে সব রকমের সহযোগিতা করা হচ্ছে এবং হবে বলেও জানান তিনি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা অভিযোগ করেন, পুলিশের গাড়িটি বেপরোয়া তার নিজের সাইট ছেড়ে অন্য (রং) সাইডে গিয়ে মোটর সাইকেলটিকে চাপা দিলে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এদিকে শহরের বেশ কয়েকজন সিএনজি চালক অভিযোগ করে জানান, এই গাড়িটি সব সময় শহরের অভ্যন্তরে বেপরোয়া গতিতে চলাচল করে। পুলিশের গাড়ি বলে কেউ ভয়ে কিছু বলেনা।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

2 Replies to “রাঙামাটিতে বেপরোয়া গতির পুলিশ ভ্যানের ধাক্কায় মোটরসাইকেল চালক গুরুতর আহত”

  1. খোজঁ নিয়ে জানা গেছে, গাড়িটি চালাচ্ছিলেন জেলা পুলিশে কর্মরত পুলিশ কনষ্টেবল মিন্টু কুমার নাথ, যাহার নাম্বার- ৭০৯।

  2. শহরের বেশ কয়েকজন সিএনজি চালক অভিযোগ করে জানান, এই গাড়িটি সব সময় শহরের অভ্যন্তরে বেপরোয়া গতিতে চলাচল করে। পুলিশের গাড়ি বলে কেউ ভয়ে কিছু বলেনা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন