রাঙামাটিতে লঞ্চ ভাড়া বেশি নেওয়ার অভিযোগ যাত্রীদের
রাঙামাটিতে যাত্রীদের কাছ থেকে লঞ্চ ভাড়া বেশি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। পূর্বে কাপ্তাই হ্রদের পানি কমে যাওয়ায় কর্তৃপক্ষ বেশি ভাড়া নিলেও বর্তমানে লঞ্চ চলাচলে হ্রদে পানি থাকলেও ভাড়া কমাচ্ছে না কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে সাধারণ মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদ এবং কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করলেও কোন কাজ হচ্ছে না।
জেলা সদরের সাথে ৬টি উপজেলার বাসিন্দাদের যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম হচ্ছে নৌ-পথ। আর এসব মানুষ জেলা সদরে আসা-যাওয়া করে লঞ্চের মাধ্যমে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল (যাত্রী পরিবহন) সংস্থাটির যাত্রী পরিবহনের শুধু মাত্র রাঙামাটি থেকে লংগদু এবং মারিশ্যা যাওয়ার মূল্য তালিকায় থেকে জানা যায়- রাঙামাটি-মারিশ্যা ভায়া মাইনীমুখ নৌ-পথের লোকাল লঞ্চের পূর্ব নির্ধারিত ভাড়া যেমন: রাঙামাটি হতে সুবলং সাধারণ শ্রেণী ৪০,উচ্চ শ্রেণী ৫০টাকা। রাঙামাটি থেকে হাজাছড়া সাধারণ শ্রেণী ৫০, উচ্চ শ্রেণী ৬০টাকা। রাঙামাটি থেকে বরুণাছড়ি সাধারণ শ্রেণী ৬০টাকা, উচ্চ শ্রেণী ৭০টাকা। রাঙামাটি থেকে কাট্টলী সাধারণ শ্রেণী ৮০টাকা, উচ্চ শ্রেণী ৯০টাকা। রাঙামাটি থেকে ফোরের মুখ সাধারণ শ্রেণী ১০০, উচ্চ শ্রেণী ১২০টাকা। রাঙামাটি থেকে লংগদু/মাইনী সাধারণ শ্রেণী ১১০, উচ্চ শ্রেণী ১৩০টাকা। রাঙামাটি থেকে মাহিল্যা সাধারণ শ্রেণী সাধারণ শ্রেণী ১২০টাকা, উচ্চ শ্রেণী ১৪০টাকা। রাঙামাটি থেকে আমতলী সাধারণ শ্রেণী ১৩০টাকা, উচ্চ শ্রেণী ১৫টাকা। রাঙামাটি থেকে দূরছড়ি সাধারণ শ্রেণী ১৫০টাকা, উচ্চ শ্রেণী ১০টাকা। রাঙামাটি থেকে মারিশ্যা সাধারণ শ্রেণী ১৬০টাকা, উচ্চ শ্রেণী ১৯০টাকা।
রাঙামাটি-মারিশ্যা ভায়া মাইনীমুখ নৌ-পথের বিরতিহীন লঞ্চের পূর্ব নির্ধারিত ভাড়া যেমন: রাঙামাটি থেকে লংগদু/মাইনী সাধারণ শ্রেণী ১৪০, উচ্চ শ্রেণী ১৭০টাকা। রাঙামাটি থেকে দূরছড়ি সাধারণ শ্রেণী ১৯০টাকা, উচ্চ শ্রেণী ২৩০টাকা। রাঙামাটি থেকে মারিশ্যা সাধারণ শ্রেণী ২১০, উচ্চ শ্রেণী ২৫০টাকা।
লংগদু /মাইনী- ভায়া মারিশ্যা নৌ-পথের লঞ্চের পূর্ব নির্ধারিত ভাড়া যেমন:
মাইনী থেকে মারিম্যা সাধারণ শ্রেণী ১১০, উচ্চ শ্রেণী ১২০টাকা। মাইনী থেকে দূরছড়ি সাধারণ শ্রেণী ৯০টাকা, উচ্চ শ্রেণী ১১০টাক, দূরছড়ি থেকে মারিশ্যা সাধারণ শ্রেণী ৪০, উচ্চ শ্রেণী ৪০টাকা উল্লেখ আছে।
কিন্তু লঞ্চ মালিক সমিতি জেলা সদরের সাথে নৌ-পথে যোগাযোগে লঞ্চের ভাড়া তালিকার চেয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছেন এমন অভিযোগ যাত্রী সাধারণের।
নিপুন দে নামের এক যাত্রী জানান, আমরা দু’জন ব্যক্তি মারিশ্যা থেকে রাঙামাটি আসার জন্য উচ্চ শ্রেণীর জনপ্রতি ২৫০টাকার দু’টি টিকেট কিনলেও নির্দিষ্ট ভাড়ার সাথে অতিরিক্ত জনপ্রতি আরো ৪০ টাকা করে বেশি নিয়েছে। এ নিয়ে লঞ্চের কর্তৃপক্ষকে অবগত করলেও তার কোন সঠিক জবাব দিতে পারিনি।
একই অভিযোগ করেছেন, লংগদু উপজেলার বাসিন্দা এবং স্কুল শিক্ষক রেজাউর করিম, একই এলাকার মো. আলমগীর হোসেন এবং বরকল উপজেলার সরকারি চাকরীজীবি মো. মোস্তফা। তাদের দাবি, পানি শুকানোর সময় লঞ্চ মালিক কর্তৃপক্ষ ভাড়া বেশি নিয়েছে আমরা মেনে নিয়েছি কিন্তু এখন ভরা নদীতে লঞ্চ চলাচলে কোন সমস্যা নেই সেখানে অতিরিক্ত ভাড়া কেন আদায় করছে লঞ্চ মালিক সমিতি। এ নিয়ে তারা স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
লঞ্চ মালিক সমিতির সভাপতি মঈনুদ্দীন সেলিম জানান, আমরা সরকারের নির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী ভাড়া নিচ্ছি। তার বাহিরে কোন ভাড়া আদায় করছি না।
যখন হ্রদে পানি ছিলো না তখন যাত্রীরা বেশি ভাড়া দিয়ে বোট দিয়ে যাতায়াত করেছে। এখন হ্রদে পানি বেড়েছে। লঞ্চ চলাচল শুরু করেছে। তাই সরকারের নির্ধারিত নিয়মে যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া আদায় করছি।