রাঙামাটির এনজিও সিসিডিআর এর নির্বাহী পরিচালক আটক

কাউখালী প্রতিনিধি:

কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে রাঙামাটির সাইনবোর্ড সর্বস্ব এনজিও সেন্টার ফর কমিউনিটি ডেভলপমেন্ট এন্ড রিসার্স (সিসিডিআর)’র নির্বাহী পরিচালক জাহিদুল ইসলামকে আটক করেছে পুলিশ।

রবিবার দুপুরে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানাধীন কাপাসগোলা এলাকায় নিজ ফ্ল্যাট থেকে তাকে আটক করে কাউখালী থানা পুলিশ। কাউখালীতে গ্রাহকের সঞ্চিত টাকা আত্মসাৎ মামলায় তাকে আটক করা হয়। সোমবার সকালে আটককৃত জাহেদকে আদালতে প্রেরণ করে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। রাঙামাটি ও বান্দারবানে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে তার নামে।

কাউখালী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. কবির হোসেন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এসআই ভক্ত চন্দ্র দত্ত ও এএসআই মো. আব্দুল জলিলের নেতৃত্বে ৮ অক্টোবর দুপুরে পুলিশের একটি দল পাচলাইশ থানার সহায়তায় নগরীর কাপাসগোলা অভিযান চালিয়ে নিজ ফ্ল্যাট থেকে তাকে আটক করা হয়। পুলিশ জানায়, তার বিরুদ্ধে গ্রাহকের অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারনার একাধিক মামলা রয়েছে। সংস্থাটির গ্রাহকদের পক্ষে চলতি বছরের ৬ জুন কাউখালী ব্যবসায়ী কল্যাণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুদ্দিনের করা মামলায় তাকে আটক করা হয়।

উল্লেখ্য যে, ৬ জুন গ্রাহকরা সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক জাহেদুল ইসলামকে রাঙ্গুনীয়া গোচরা চমৌনী বাজার থেকে আটক করে কাউখালী থানায় আনার পথে রাঙ্গুনীয়ার সন্ত্রাসীদের একটি গ্রুপের মাধ্যমে জাহেদ নিজেকে উদ্ধার করে। অবশ্য তারা পরে তাকে ৩০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দেয়। জাহেদ পালিয়ে গেলেও সংস্থাটির অন্য দু’জন প্রোগ্রাম কোঅডিনিটর মো. জালাল উদ্দিন, কাউখালী ব্রাঞ্চ ম্যানেজার লিটন চাকমাকে পুলিশে তুলে দিতে সক্ষম হন।

সূত্র মতে এ সংস্থার মোট ২৭টি শাখা অফিস রয়েছে। তার মধ্যে শুধু কাউখালী ও বান্দারবান থেকে আত্মসাৎ করা হয়েছে প্রায় ১০ কোটি টাকা। অবশিষ্ট শাখা গুলোতেও একই অবস্থা বলে ধারনা করছে পুলিশ। এতে বোঝা যাচ্ছে ২৭টি শাখায় গ্রাহকের আত্মসাৎকৃত টাকা ১০০শ কোটি ছাড়াতে পারে। সোমবার সকালে আলোচিত জাহিদুল ইসলাম আটকের খবরে থানায় ছুটে আসেন প্রায় অর্ধশত গ্রাহক। কিন্তু বিষয়টি আইনি পক্রিয়ায় চলে যাওয়ায় এই মুহুর্তে গ্রাহকের টাকা ফেরৎ পাওয়ার বিষয়টি ঝুলে গেল। ফলে অনেকে হতাশ হয়ে থানা থেকে ফেরৎ আসেন।

কাউখালী থানার ওসি কবির হোসেন জানান, আইনি পক্রিয়ার মাধ্যমে যাতে বিষয়টি নিষ্পত্তি হয় তার জন্য মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা করে দ্রুত তার বিরুদ্ধে চার্জসিট প্রদান করা হবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন