রাঙামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের সঙ্গে নরওয়ে ও সুইডিশ প্রতিনিধিদের সাক্ষাৎ

নিজস্ব প্রতিনিধি, রাঙামাটি:

বাংলাদেশে নিযুক্ত নরওয়ের রাষ্ট্রদূত এবং সুইডিশ দূতাবাসের হেড অব দা মিশন এর একটি যৌথ টিমের সাথে রাঙামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়েছে। সোমবার (৫ নভেম্বর) বিকেলে চেয়ারম্যানের অফিসকক্ষে সাক্ষাতে মিলিত হন তারা।

সাক্ষাৎকালে প্রতিনিধি দলটি জেলা পরিষদ এবং জেলার সার্বিক আর্থ-সামাজিক অবস্থা সম্পর্কে চেয়ারম্যানের কাছ থেকে জানতে চান।

চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমা প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানিয়ে বলেন- জেলা পরিষদ সরকারি সহযোগিতায় এবং হস্তান্তরিত বিভাগের সমন্বয়ে কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, যোগাযোগ প্রভৃতি ক্ষেত্রে উন্নয়ন কার্যক্রম সম্পাদন করে যাচ্ছে। একইভাবে ইউএনডিপি’র অর্থায়নে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করে চলেছে।

প্রত্যন্ত এলাকায় ইউএনডিপি প্রতিষ্ঠিত প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো জাতীয়করণ হয়েছে। স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে ম্যালেরিয়ায় মৃত্যুর হার শূন্যের কোটায় নেমে এসেছে এবং কৃষিক্ষেত্রে স্থানীয় কৃষকদের দক্ষতা সৃষ্টির পাশাপাশি কৃষিজ পণ্য উৎপাদনে বিরাট পরিবর্তন এসেছে।

তিনি এলাকার আর্থ-সামাজিক অবস্থার পরিবর্তনে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, স্বাস্থ্যসেবায় অধিকতর বিনিয়োগ এবং সনাতন পদ্ধতির কৃষি ব্যবস্থার পরিবর্তে মিশ্র ফলের বাগান উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারে বলে সফররত প্রতিনিধিদলের কাছে মত ব্যক্ত করেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বিদেশী দাতাদের সহযোগিতা এলাকার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

সৌজন্য সাক্ষাতে নরওয়ের টিমে ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত নরওয়ের রাষ্ট্রদূত সিদসেল ব্লিকিন, ডেপুটি হেড অব মিশস ট্রুস জুলিয়ান জেগের সিনেবাগ, এ্যাম্বাসেডর স্পাউজ টর এন্ড্রেজ টরহাগ, সিনিয়র এ্যাভাইজার মোরশেদ আহম্মেদ।

সুইডিস টিমে ছিলেন- হেড অব ডেবেলোপম্যান্ট কোরপরেশন এবং ডেপুটি হেড অব মিশন এনডার্স অরসট্রম, সেকেন্ড সেক্রেটারি পলিটিক্যাল এন্ড ট্রেড ইয়াবা ফেস্টিন, প্রোগ্রাম অফিসার জেন্ডার ইকোয়ালিটি, হিউম্যান রাইটস এ্যান্ড ডেমোক্রেসি রেহেনা খান, এসআইডি-সিএইসটি প্রজেক্ট এর ন্যাশনাল প্রজেক্ট ম্যানেজার প্রসেনজিৎ চাকমা এবং ডিস্ট্রিক ম্যানেজার ঐশ্বর্য চাকমা।

জেলা পরিষদের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন- জেলা পরিষদেও মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা ছাদেক আহমদ, জেলা পরিষদেও সদস্য হাজী মুছা মাতব্বর, সবির কুমার চাকমা, জ্ঞানেন্দু বিকাশ চাকমা, থোয়াই চিং মারমা,  মো. জানে আলম এবং জনসংযোগ কর্মকর্তা অরুনেন্দু ত্রিপুরা।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন