রাঙ্গামাটিতে জাতীয় পতাকা বিক্রির ধুম
রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি:
বাঙালির জীবনে স্মৃতিগাথা মহান বিজয়ের মাস ডিসেম্বর। যথাযোগ্য মর্যাদায় ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসটি পালনের লক্ষ্যে শহর থেকে গ্রামাঞ্চল পর্যন্ত সরকারি, আধা সরকারি, বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। এই মাসে লাল সবুজের জাতীয় পতাকার চাহিদাও যেন বেড়েই চলেছে। ফলে জাতীয় পতাকা হাতে ভ্রাম্যমান হকাররা ছুটছে দেশের এক প্রান্তর থেকে অন্য প্রান্তরে। শহর থেকে গ্রামাঞ্চলের হাট-বাজারেও পতাকা বিক্রির ধুম পড়েছে।
রাঙ্গামাটি শহরে বনরূপা সানমুন টেইলার্সের দর্জি তুষার পাল জানান, আমি প্রায় ২১ বছর ধরে জাতীয় পতাকা তৈরি করি। আমাকে জেলা প্রশাসন থেকে জাতীয় পতাকার পরিমাপ দেওয়া হয়েছে সে পরিমাপের পতাকা তৈরি করি। আমার কাছে রাঙ্গামাটির জেলা-উপজেলার সকল প্রতিষ্ঠান পতাকা বানিয়ে নেন।
তিনি আরো জানান, ২১ ফেব্রুয়ারি, ২৬ মার্চ এবং ১৬ ডিসেম্বর এলে ১৫ দিন আগে থেকে জাতীয় পতাকা বানানোর জন্য ব্যস্ত থাকি। কিন্তু রাঙ্গামাটি শহরের কয়েকজন ভ্রাম্যমান হকার পতাকা বিক্রয় করার কারণে এবার তেমন কোন কাজ পাইনি।
এদিকে রাঙ্গামাটি শহরের ভ্রাম্যমান হকার মো. কবির জানান, আমি ঢাকায় কাপড় চোপড় বিক্রি করি। তবে ২১ ফেব্রুয়ারি, ২৬ মার্চ এবং ১৬ ডিসেম্বর এলে জাতীয় পতাকা বিক্রি করি ।
তিনি আরো বলেন, আমি গত ৯ তারিখ থেকে রাঙ্গামাটি শহরে পতাকা বিক্রি করি। আমার কাছে সর্বনিম্ন ২০ টাকা থেকে ১৭০ টাকা মূল্যের পর্যন্ত পতাকা রয়েছে। দৈনিক ৮০০-১ হাজার টাকা পর্যন্ত বেচা-কেনা হয় বলে তিনি জানান।
চট্টগ্রাম থেকে আগত আরেক ভ্রাম্যমান হকার মো. আলমগীর কবির খান জানান, আমি রাঙ্গামাটি শহরের বেশ কয়েকদিন ধরে ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উপলক্ষে ছোট-বড়, মাঝারি জাতীয় পতাকাসহ পতাকার মাথার এবং হাতের ব্যান এবং স্টিকার বিক্রি করি। আমার কাছে সর্বোচ্চ ৩০০টাকা থেকে সর্বনিম্ন ২০ টাকার পতাকা রয়েছে।
রাঙ্গামাটি শহরে বৃহস্পতিবার জাতীয় পতাকা বিক্রি করতে দেখা যায় ৩/৪ জন ভ্রাম্যমান হকারকে। অথচ কেউই সঠিক মাপে পতাকা তৈরি করেননি।
রাঙ্গামাটি কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) সত্যজিৎ বড়ুয়া জানান, কয়েকজন হকারকে পতাকা বিক্রি করতে দেখেছি। এগুলোর যে মাপ সঠিক আছে কি নাই, সেটা আমি দেখি নাই। মাপবিহীন পতাকা তৈরিকারকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।