রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ প্রবর্তিত ৪র্থ শ্রেণির শিক্ষা বৃত্তি প্রদান

রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি:

রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ প্রবর্তিত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির বৃত্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৩শত ৪৯জন শিক্ষার্থীদের মেধাভিত্তিক শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়েছে। রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ জেলার শিক্ষার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে ২০০৩ সাল থেকে প্রতি বছর প্রাথমিক পর্যায়ে এ বৃত্তি দিয়ে আসছে।

সোমবার (১৩ নভেম্বর) সকালে রাঙ্গামাটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের হাতে বৃত্তির টাকা ও সম্মাননা ক্রেস্ট এবং সনদপত্র তুলে দেন।

বৃত্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে অনন্য মেধায় ২২জনকে ২হাজার টাকা, ট্যালেন্টপুলে ৭১জনকে ১হাজার ৫শত টাকা এবং ২৫৬জন শিক্ষার্থীকে সাধারণ গ্রেডে ১হাজার টাকা করে মোট ৪লক্ষ ৬হাজার ৫শত টাকার শিক্ষা বৃত্তি প্রদান করা হয়।

শিক্ষা কমিটির আহ্বায়ক ও রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য অংসুইপ্রু চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য বেগম মনোয়ারা আক্তার জাহান, সদস্য অমিত চাকমা রাজু, সদস্য ত্রিদীব কান্তি দাশ, রাঙ্গামাটি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইউসুফ সিদ্দিকী ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা উত্তম খীসা বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন রাঙ্গামাটি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রওশন আলী।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা, পার্বত্য অঞ্চলের শিক্ষার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে আরো বেশি গুরুত্ব দিতে শিক্ষক অভিভাবকদের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, একটি ভবনের ফাউন্ডেশন যদি সঠিকভাবে করা না হয়, সে ভবন বেশিদিন টিকে না। তাই প্রাথমিক পর্যায় থেকে শিক্ষার মান ভালো হতে হবে। না হলে কোন শিক্ষার্থী তার অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবে না। এ লক্ষ্যে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ ২০০৩ সাল থেকে প্রাথমিক শিক্ষা বৃত্তি চালু করেছে।

তিনি বলেন, এ বৃত্তি শিক্ষার্থীদের পরবর্তী বৃত্তি পরীক্ষায় ভালো ফলাফল নিয়ে আনতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকার শিক্ষিত জাতি গঠন ও শিক্ষার মান উন্নয়নে ২৬হাজার বেসরকারি স্কুল সরকারিকরণ ও বছরের প্রথম দিনে শিক্ষার্থীদের হাতে বই পৌঁছে দিচ্ছে। সরকারের প্রদত্ত সুবিধাগুলোকে কাজে লাগিয়ে সমৃদ্ধশালী দেশ গঠনে আমাদের সেভাবে কাজ করতে হবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন