রাজনৈতিক অস্থিরতার সুযোগে নিধনের ফাঁদে ১৫ সড়কের সবুজ বেষ্টনী

pic pekua tree
এম. জুবাইদ, পেকুয়া : পেকুয়ার প্রায় ১৫টি সড়কের দু’পাশের সবুজ বেষ্টনী নিধন হয়ে যাচ্ছে। দেশে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার সুযোগে বনবিভাগ ও প্রশাসনের চোখের আড়ালে সবুজ বেষ্টনীর এসব গাছ দৃবৃর্ত্তরা নিধন করছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় অধিবাসীরা।

১৯৯৪ সালের সড়ক ও জনপথ বিভাগের উদ্যোগে পেকুয়ার ১৫টি সড়কে সবুজ বেষ্টনী হিসেবে বৃক্ষ রোপন করা হয়েছিল। এরপর বিভিন্ন পর্যায়ে আরো কিছু গাছ রোপন করে সড়ক বিভাগ। পরে সওজের আওতাধীন সবুজ বেষ্টনী রক্ষণাবেক্ষনের দায়িত্ব দেওয়া হয় স্থানীয় বনবিভাগকে।

বিভিন্নস্থরে ঘুরে দেখা যায়, সদর ইউনিয়নের পেকুয়া চৌমুহুনী থেকে আঞ্চলিক মহাসড়ক, টইটং সড়ক, টইটং স্কুল সড়ক, হাজ্বীবাজার সড়ক, কাটাফাড়ি সড়ক, মগনামা বাজার থেকে লঞ্চঘাট সড়ক, পেকুয়া বাজার থেকে বরইতলী রাস্তার মাথা সড়ক, চড়াপাড়া থেকে বারবাকিয়া সড়ক, কাদিমাকাটা থেকে বারবাকিয়া বাজার সড়ক, বারবাকিয়া বাজার থেকে ফাশিয়াখালী সড়ক, রাজাখালী উপক’লীয় বেড়িবাধ সড়ক, বাঘগুজারা রাবার ড্য্রাম থেকে গুরা মিয়া বাজার সড়ক, করিয়ারদিয়া উপক’লীয় বেড়িবাধ সড়কের অধিকাংশ সবুজ বেষ্টনীর গাছ কেটে ফেলা হয়েছে।

টইটং ইউনিয়নের দা বাহিনী নামে পরিচিত নাছির গ্রুপ প্রতিদিন সবুজ বেষ্টনীর গাছ নিধন করছে। বনবিভাগ তাদের বিরুদ্ধে কোন ধরনের আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না। স্থানীয়দের অভিযোগ, সবুজবেষ্টনীর গাছ কাটার খবর থানা পুলিশকে দিলেও পুলিশ লিখিত অভিযোগ ছাড়া কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করে না।

মগনামা উপকূলীয় বনবিট কর্মকর্তা মুজিবুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, উপকূলীয় বনবিভাগে জনবল সংকট তীব্র। তারপরও যেস্থানে গাছ কাটা হচ্ছে সেখানে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

এ ব্যাপারে পেকুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ হাবিবুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, সবুজ বেষ্টনীর গাছ কাটার বিষয়ে আমার কাছে আজ পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি।    

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন