রামগড় পৌরসভার উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ সংক্রান্ত সভা পুলিশি বাঁধায় পন্ড
রামগড় প্রতিনিধি:
পুলিশের রহস্যজনক বাঁধার কারণে রামগড় পৌরসভার উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ সংক্রান্ত এক সভা পন্ড হয়ে গেছে। রবিবার বিকাল ৩টায় সভাটি হওয়ার কথা ছিল। পুলিশ বলছে, বিশৃঙ্খলা হওয়ার আশঙ্কায় এমন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
জানা যায়, পূর্ব নির্ধারিত সভায় যোগদান করতে রবিবার বিকাল ৩টায় পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি পৌর ভবনে উপস্থিত হলে পুলিশ হঠাৎ তাদের উপর চড়াও হয়। পৌরসভার সভাস্থল ও পৌরভবন থেকে পুলিশ লোকজনদের বের করে দেয়। বিপুল সংখ্যক পুলিশ পৌরভবনের প্রবেশপথে অবস্থান নিয়ে লোকজন ভিতরে ঢুকতে বাঁধা দেয়। বিকাল ৩টা থেকে রাত সাড়ে ৭টা পর্যন্ত পুলিশী প্রহরায় অবরুদ্ধ থাকে পৌরভবন।
এ সময় মেয়র মো. শাহজাহান কাজী রিপন পৌরভবনে তাঁর অফিসে অবস্থান করছিলেন। মেয়র সাংবাদিকদের অভিযোগ করে বলেন, রামগড় পৌরসভার উন্নয়ন কাজের জন্য প্রায় তিন কোটি টাকার একটি বিশেষ অর্থ বরাদ্দ মঞ্জুর হচ্ছে। এ বরাদ্দে উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের প্রাক প্রস্ততি অনুযায়ি পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের পৌর কাউন্সিলর ও নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের নিয়ে পরামর্শ সভার আয়োজন করা হয়। রবিবার বিকাল ৩টায় সভায় যোগদান করতে লোকজন পৌরসভায় উপস্থিত হলে পুলিশ রহস্যজনকভাবে আগত লোকজনদের জোরপূর্বক বের করে দেয়। বিপুল সংখ্যক পুলিশ পৌরসভার প্রবেশ পথে অবস্থান নিয়ে লোকজনদের ভিতরে ঢুকতে বাঁধা দেয়। এ সময় পৌরসভার কাউন্সিলরসহ কর্মচারিদেরও বাঁধা দেয়া হয়।
পৌরসভার মেয়র আরও জানান, রামগড় থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মাইন উদ্দিন খানকে মোবাইল ফোনে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি ‘উপরের চাপে’ সভা অনুষ্ঠানে বাঁধা দিচ্ছেন বলে তাঁকে জানান।
মেয়র আরও বলেন, আজকের সভায় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ প্রকল্প বাস্তবায়নে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের দেয়া বিদ্যুৎ বিহীন এলাকা ও পরিবারের শুমারী এবং পুলিশের দেয়া প্রবাসীদের পরিবারের তথ্যাদি সংগ্রহ সংক্রান্ত বিষয়েও ওয়ার্ড সমূহের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের সাথে আলোচনার কথা ছিল। পুলিশের এ ধরণের রহস্যজনক ভুমিকায় পৌরসভার উন্নয়ন কার্যক্রম বাঁধাগ্রস্ত হয়েছে বলেও তিনি জানান।
এদিকে পৌর ভবনে হঠাৎ বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন ও সভা অনুষ্ঠানে বাঁধা দানের ব্যাপারে রামগড় থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মাইন উদ্দিন খান বলেন, সভাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ বা বিশৃঙ্খলা হতে পারে এমন তথ্য পেয়েই পৌরভবনে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।