রামুর গর্জনিয়া-কচ্ছপিয়ায় কৃষি দপ্তরের নির্দেশনা মানছে না সার ডিলাররা
নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধি:
রামু উপজেলার গর্জনিয়া ও কচ্ছপিয়া ইউনিয়নে দায়িত্বপ্রাপ্ত সার ডিলাররা মানছে না সরকারি নির্দেশনা। অবৈধ দোকান ও সারের গুদামের বিষয়ে প্রশাসনের বার বার নির্দেশনা স্বত্বেও প্রভাবশালী সার ডিলাররা সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে এক ইউনিয়নের সার ডিলার অন্য ইউনিয়নে সার বিক্রি করছেন। আবার কিছু কিছু ওয়ার্ড পর্যায়ের খুচরা সার ডিলাররা বানিজ্যিক এলাকায় দোকান ও গুদাম খুলে চালাচ্ছেন অবৈধ সার ব্যবসা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গর্জনিয়া ইউনিয়নে মেসার্স সিরাজুল হক নামে একজন অনুমোদিত সার ডিলার নিয়োগ করা হয়। কিন্তু কৃষি বিভাগের কতিপয় লোকজনের যোগসাজশে তিনি দীর্ঘদিন যাবত কচ্ছপিয়া ইউনিয়নস্থ বাজারে সার ব্যবসা চালাচ্ছেন।
অপরদিকে কচ্ছপিয়া ইউনিয়নে একজন অনুমোদিত সার ডিলারের পাশাপাশি প্রতিটি ওয়ার্ডে একজন করে সার ডিলার নিয়োগ করা হয়। কিন্তু তারা নিজ এলাকায় অবস্থান না করে বর্তমানে কেউ চালের দোকানে আবার কেউ কীটনাশকের দোকানে ব্যবসা চালিয়ে আসছেন।
অভিযোগ উঠেছে, কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের মো. শাহাজান, ৭নং ওয়ার্ডের মোজাফ্ফর আহমদ, ৫নং ওয়ার্ডের মনছুর আলম দীর্ঘদিন ধরে গর্জনিয়া বাজারে চালের ব্যবসার পাশাপাশি সার মজুদ করে বেশি লাভের আশায় ব্যবসা চালাচ্ছেন। এছাড়াও ৩নং ওয়ার্ডে মুছা, ৪নং ওয়ার্ডে মো. জামান একই ভাবে সার বিক্রি করছেন গর্জনিয়া বাজারে বসে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক এলাকাবাসী জানিয়েছেন, গর্জনিয়া বাজার থেকে মিয়ানমার ও অন্যান্য এলাকার যাতায়াত সহজ হওয়ার সুবাদে এসব খুচরা ব্যবসায়ীরা সরকারের নির্দেশনা না মেনে বেআইনী ভাবে বাজার এলাকায় ব্যবসা চালাচ্ছেন। অভিযোগে আরো জানা গেছে, সরকারি ভাবে ডিলারদের মাঝে মোটা সার দেওয়া হলেও একটি অসাধু চক্র প্রশাসনের অগোচরে আশুগঞ্জ থেকে চাদেঁর গাড়ি যোগে চিকন সার এনে গর্জনিয়া বাজারে বিক্রি করছেন। এতে করে সরকারিভাবে নিয়োগকৃত বৈধ ডিলাররা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে রামু উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু মাসুদ সিদ্দীকি বলেন, ইতিপূর্বে অভিযোগ উঠার পর সার ডিলারদের গত ৩০ জানুয়ারির মধ্যে স্ব স্ব ওয়ার্ডে চলে যাওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল এবং গর্জনিয়া ইউনিয়নের সার ডিলারকে নিজ এলাকায় সরিয়ে নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু সার ডিলাররা আদেশ অমান্য করায় পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে।