রামুর জনগুরুত্বপূর্ণ বৌদ্ধ মন্দির সড়কের বেহাল দশা
রামু প্রতিনিধি:
কক্সবাজারের রামু উপজেলার বৌদ্ধ মন্দির সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে দুর-দুরান্ত থেকে বৌদ্ধ বিহার দেখতে আসা পর্যটকসহ চলাচলে স্থানীয়দের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ২০১৭ সালের বন্যায় সড়কটির এমন দুরাবস্থা হয়। স্থানীয়রা বলছেন, বর্সার আগে সড়কটির সংস্কার কাজ না হলে দুর্ভোগ আরও বাড়বে।
সরেজমিনে পরিদর্শনে দেখা যায়, চৌমুহনী থেকে চেরাংঘাটা পর্যন্ত সড়কটির দৈর্ঘ্য মাত্র এক কিলোমিটার। এরমধ্যে তেলীপাড়া সেতু থেকে চেরাংঘাটা পর্যন্ত আধা কিলোমিটারের মধ্যে ছোট বড় অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, বৌদ্ধ পূরার্কীতি ও প্রত্নতাত্মিক নির্দশনের জন্য সারাদেশে রামু উপজেলা বিখ্যাত। এসব পুরার্কীতির মধ্যে পাঁচটি প্রধান বৌদ্ধ বিহার এ সড়কে অবস্থিত। তাই সারা বছর পূরার্কীতি গুলো দেখার জন্য দেশি বিদেশী পর্যটকেরা এ সড়কে চলাচল করেন। কিন্তু সড়কটির দূরাবস্থার কারণে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে পর্যটকদের। সড়ক ভেঙে বড় গর্তে পানি জমে থাকায় আবার ছোট ছোট দূর্ঘটনাও ঘটছে। তারা অভিযোগ করেন, দীর্ঘ প্রায় এক বছর ধরে বেহাল অবস্থা হলেও সড়কটি সংস্কারের উদ্যোগ নেই।
টানা নয়দিনের ছুটিতে ঢাকার নারায়নগঞ্জ থেকে স্বপরিবারে কক্সবাজার বেড়াতে আসেন ব্যবসায়ি আব্দুর রহমান। কক্সবাজার আসার পরের দিন আসেন রামুতে বৌদ্ধমন্দির দেখতে। তারা জানান, চেরাংঘাটা রাখাইনদের ক্যাংটি দেখে মন ভরে গেছে। বিশালাকার কাঠ দিয়ে অপূর্ব স্থাপত্য শৈলীতে তৈরি এখানকার বৌদ্ধ মন্দির গুলো যুগ যুগ ধরে মানুষকে কাছে টানবে। কিন্তু সড়কটির যে হাল হয়েছে, এরকম দূরাবস্থা দেখলে পর্যটকরা আসার উৎসাহ হারাবে।
রামু ডিগ্রি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ শিক্ষাবিদ প্রফেসর মোশতাক আহমদ জানান, বৌদ্ধ মন্দির সড়কটি শুধুমাত্র পূরার্কীতির জন্যই গুরুত্বপূর্ণ নয়, জেলার সবচেয়ে বড় ফকিরা বাজার, বাঁশ বাজার এবং পাবর্ত্য উপজেলা নাইক্ষ্যংছড়ি ও রামুর পূর্বাঞ্চল গর্জনিয়া কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের সাথে যোগাযোগের প্রধান সড়ক এটি। গুরুত্ব বিবেচনা করে সড়কটির দ্রুত সংস্কার জরুরী।
রামু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রিয়াজ উল আলম জানান, এটি উপজেলার সবচেয়ে জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক। গত বছর বন্যার কারণে সড়কের বিভিন্ন অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কিছু অংশ কার্পেটিং থেকে আরসিসি করা হয়েছে। বাকি ক্ষতিগ্রস্ত আধা কিলোমিটারও আরসিসি সড়ক করার পরিকল্পনা চলছে।